সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পঞ্চায়েতে’র কো’ন স’দ’স্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্র’ক’ল্পে’র স’ঙ্গে যু’ক্ত থা’কা যাবে না! জা’না’লেন রা’জ্যে’র মুখ্য’সচিব

পঞ্চায়েতের কোন সদস্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না! জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব

রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তৃণমূলের তরফের নেতাদের কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন স্তর থেকে। টাকার বিনিময়ে ফরম বিলির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এই প্রবণতা রুখতে এবার আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিলেন যে পঞ্চায়েত সদস্য বা স্থানীয় কোনও ক্লাব লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না।

গত ১৬ অগাস্ট থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফর্মে জালিয়াতি রুখতে ইউনিক নম্বর বসানোর ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তারপরে ওরা যে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠছে যে তৃণমূলের তরফে নেতাকর্মীরা টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করছেন। অথচ রাজ্য সরকার রাজ্যের মহিলাদের বিনামূল্যে ফর্ম বিলি করার কথা বলেছেন।

ফলে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আরো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকা অনুসারে পঞ্চায়েত সদস্য বা কোনও ক্লাব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম তোলা বা পূরণের ব্যাপারে কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। বদলে কন্যাশ্রী, আশা কর্মী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সাহায্য করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

এখানে পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। বিরোধী শিবিরগুলির দাবি, তৃণমূল এখন তাদের নিজের দলের কর্মীদের উপরেই ভরসা রাখতে পারছে না। বিজেপির কটাক্ষ, টাকা হাতানো ছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের দলে থাকার আর কোনো কারণ নেই। বিজেপি শিবির আরো বলেছে, তৃণমূল নীতি-আদর্শহীন একটা দল। যে দলে কোনো সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই নিচের তলার কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তৃণমূল।