অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, প্রয়োজনের সময় দাতার অভাবে মেলে না প্রয়োজনীয় অঙ্গ। কাজেই হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এবার যুগান্তকারী সাফল্য পেল বিজ্ঞান। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের তৎপরতায় শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন হলো মানুষের শরীরে। চিকিৎসকদের দাবি, সফল হয়েছে এই প্রতিস্থাপন।
নিউ ইয়র্কের এই ঘটনাকে কার্যত আশার আলো হিসেবে দেখছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। বিশিষ্ট সংবাদসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটির এনওয়াইইড ল্যাঙ্গোন হেলথ এ কোমাটেজ রোগীর কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে চিকিৎসকেরা তাকে পাইলট প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত করেন।
রোগীর লাইফ সাপোর্ট বন্ধ করার আগে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তার শরীরে শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের অনুমোদন আদায় করেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে অবশ্য শুকরের কিডনিতে বেশকিছু জিনগত পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এতে মানুষের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে শূকরের কিডনির সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।
প্রতিস্থাপনের পরেও অবশ্য কিডনিটিকে শরীরের বাইরেই রাখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে এটি কাজ করা বন্ধ করা যায় কিনা তা দেখতে চেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে শুকরের কিডনি। এখনো পর্যন্ত রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক বলেই দাবি করছেন চিকিৎসকেরা। শুকরের কিডনি মানুষের কিডনির মত প্রস্রাব তৈরি করতে এবং পরিস্রুত করতেও সক্ষম। আগামীদিনে এর থেকে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা।