সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একেই বলে ভা’গ্য! জীবনে প্রথম লটারি কে’টেই জিতলেন ২৯০ কোটি, যুবতীর কা’হি’নী শুনলে ঈ’র্ষা হবে

ফাটকা খেলার দুনিয়ায় একটি শব্দ আছে বিগিনার্স লাক বলে। এই কথাটির অর্থ হল শুরুতেই সৌভাগ্য অর্জন করা। প্রথমবার যোগ দিয়ে কোনো না কোনো লক্ষী লাভ করাকে বলা হয় বিগিনার্স লাক। ১৮ বছরের জুলিয়টের সঙ্গেও তেমনি কিছু ঘটল। সাধারণ কলেজ ছাত্রী থেকে আস্ত বিমানের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। নিমিষেই পাল্টে গেল গোটা জীবন।

সদ্য কৌশল পেরিয়ে সাবালক হয়েছেন তিনি। কানাডার বাসিন্দা এই ছাত্রী জীবনে প্রথমবার লটারি টিকিট কেটেছিলেন। প্রথমবারই লক্ষ্যভেদ। তরুণী জিতে নিয়েছেন ৪ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার অর্থাৎ ২৯০ কোটি ভারতীয় মুদ্রা। কানাডার লটারি ইতিহাসে এত অল্প বয়সে এত বিপুল পরিমাণ লটারির টাকা কোনদিন কেউ যেতেনি। জুলিয়েট নাকি পুরস্কারের অংক না দেখেই কিনে নিয়েছিলেন এই লটারি একখানা আইসক্রিম কিনতে গিয়ে।

কিছুদিন আগে জুলিয়েটের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। মজে দাঁড়িয়ে চেক হাতে নিয়ে সেদিনের কথা শুনিয়েছিলেন জুলিয়েট। তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনাটি যে দিন ঘটে তার কয়েকদিন আগেই তিনি ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করেন। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন সদ্য। হাত খরচ চালানোর জন্য একটি ওষুধের দোকানে সেলস গার্ল এর কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও সেদিন কলেজ বা কর্মক্ষেত্র কোথাও যান নি তিনি।

আরো খবর: ক’রো’না এবার হরিণকে ছা’ড়’লো না, আমেরিকার বিজ্ঞানীরা উ’দ্বি’গ্ন

জুলিয়েটের কথায়, সেদিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাবার বন্ধুরা এসেছিলেন বাড়িতে। বাবা বেরিয়েছিলেন দাদুর সঙ্গে দেখা করতে। বন্ধুদের আসার খবর পেয়ে মাঝপথে ফিরে আসেন তিনি। এরপর দাদুর সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় জুলিয়েটকে। কথামতো সে বেরিয়ে পড়ে বাড়ি থেকে। দাদুর জন্য আইসক্রিম কিনতে দোকানের সামনে দাঁড়ান। দাদু কি আইসক্রিম খাবে জানতে দাদুকে ফোন করায় তিনি বলেন, আরে তুমি তোমার জমানো টাকা আমার উপর কেন খরচ করবে? ১৮ বছর হয়েছে একটা লটারি টিকেট কেটে ফেলো।

কার্যত দাদুর কথায় লটারির টিকিট কাটেন জুলিয়েট। আগে কখনো কাটেনি বলে দোকানদারকে বলেছিলেন টিকিট বেচে দিতে। কিন্তু সেই টিকিট যে সারা জীবনের জন্য ভাগ্য বদলে দেবে তার তা কখনো ভাবেননি জুলিয়েট। বাবার কোন স্থায়ী চাকরি নেই। স্বনিযুক্ত আর্থিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন তার বাবা। জুলিয়েট একমাত্র কন্যা। মা সংসার সামলান। জুলিয়েট ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা মেধাবী, চিকিৎসক হওয়ার শখ। সেই মেয়ের স্বপ্ন পূরণের বয়স না হলেও আপাতত তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক।।

কানাডার কনিষ্ঠতম লটারি বিজেতা জানিয়েছেন, টিকিট কেটে ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। এক রবিবার ওষুধের দোকানে কাজ করতে করতে আচমকা সহকর্মীদের উত্তেজিত কথাবার্তায় জুলিয়েট জানতে পারে, তার এলাকার কেউ জ্যাকপট জিতে নিয়েছে। টিভিতে খবরটি ঘোষণা করার পর সহকর্মীদের মধ্যে যারা টিকিট কেটেছিল তারা নম্বর মেলাতে শুরু করে।

আরো খবর: ডিম-মুরগির মাংসের দা’ম এবার আরো বা’ড়’বে, হাঁসের ডিম কে’নার কথা ভুলেই যাবেন!

তখন জুলিয়েট সকলকে জানান তার কাছেও একটা টিকিট আছে। নম্বর মেলাতেই বোঝা যায় জুলিয়েট জিতে নিয়েছে লটারি। জুলিয়েট জানিয়েছে, পুরস্কারের অর্থ দেখে দুহাতে মাথা ধরে, মাটিতে বসে পড়েন তিনি। এরপর ফোন করে খবরটা জানান মাকে।জিলেটের মা অবশ্য কথাটি প্রথমে বিশ্বাস করেন নি। কিন্তু তারপর মাকে বিশ্বাস করাতে পেরেছে জুলিয়েট।

তবে এই খবর জানার পরেও কাজ ছেড়ে বাড়িতে ফিরতে দেয়নি তার মা তাকে। নিজেই জুলিয়েটের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। টিকিট নিয়ে বলেছিলেন বিকেল পাঁচটায় কাজের সময় শেষ হলে তবেই বাড়ি ফিরে আসবে। মায়ের কথা মত কাজ করলেও পরে সহকর্মীরা তাকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।। তারপর স্বপ্নের পুরানে চড়ে লটারির পুরস্কার নিতে মঞ্চে আসা জুলিয়েটের।

জুলিয়েট যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলেন তখন দর্শকদের ভিড়ে চোখ মুছছিলেন তার মা। জুলিয়েট সমস্ত কৃতিত্ব তার দাদুকে দেন। তিনি বলেন দাদু না থাকলে এই টিকিট কাটা হত না। এই টিকিট নিয়ে কি করবেন জিজ্ঞাসা করায় জুলিয়েট বলেন, এখনো ভাবি নি, তবে পরিবারের কথা মাথায় রেখে কিছু করব।

তবে সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা বেশি দেরি করেননি জুলিয়েট। লটারি জেতার পর লন্ডন একটি বাংলাও কিনে নিয়েছেন তিনি যার দাম ৪০ কোটি টাকা। এরপর দুই কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ পাঁচটি মার্সিডিজ গাড়ি কিনেছেন তিনি। এরপরেও তার কাছে রয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।