সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক’রো’না এবার হরিণকে ছা’ড়’লো না, আমেরিকার বিজ্ঞানীরা উ’দ্বি’গ্ন

ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা উত্তর আমেরিকার সাদা লেজ যুক্ত হরিণ এ করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছে। এই ভেরিয়ান্ট টি হল SARS-COV2। এটি মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল একটা সময়। সেই সময় হাসপাতালে জায়গা ছিল না, মৃতদেহগুলি জলে ভেসে যেতো সেই সমস্ত দিনগুলো এখন মানুষ ভুলতে আরম্ভ করেছে কিন্তু সেই সময়ে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে নতুন একটি তথ্য।

তবে সাদা লেজ যুক্ত এই হরিণ গুলিতে যে করোনা ভাইরাসের ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে তা এখন পাওয়া যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, প্রাচীন মোটিভ গুলি হরিণ গুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উপস্থিত ছিল কিনা সে বিষয়ে এখনো জানা সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে তদন্ত করা চলছে গবেষণা জার্নাল প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্স এর এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে কর্নেল ইউনিভার্সিটির সহ অধ্যাপক ডিয়েগো ডিলে জানিয়েছেন, “এই গবেষণা করার মূল কারণ হচ্ছে মানুষের সংস্পর্শে এসে পশুরাও কোনরকম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা, কিন্তু এই ফলাফল দেখে আমরা একেবারেই অবাক যা অনুমান করেছিলাম সেটাই সঠিক হয়েছে”।

আরো খবর: ফেব্রুয়ারি মাসেই এই ৫ রাশি সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁ’জে পাবেন, ফি’র’তে পারে পুরনো প্রেমও!

মানুষের সংস্পর্শে এসে প্রাণীদেরও শরীরে করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্ট দেখা গেছে সম্ভবত শিকার করে অথবা জলের উৎসের মাধ্যমে ওদের দেহে প্রবেশ করেছে। ডিয়েগো ডিল জানিয়েছেন,” মানুষের মধ্যে থাকাই ভেরিয়েন্টটি উত্তর আমেরিকার বন্যপ্রাণীদের মধ্যে পাওয়া গেছে গবেষণায় ৫,৬৭০ নমুনা ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে।

তারা দেখতে পান যেও হরিণের মধ্যে যে ভাইরাসটি দেখতে পেয়েছেন তারা সেটা নিউইয়র্কের মানুষের মধ্যেই ছিল। সমীক্ষা অনুসারে ভাইরাসের ভেরিয়েন্টটি হরিণ গুলি শরীরে বহুদিন ধরেই উপস্থিত ছিল। ডিল জানিয়েছেন, “সাদা লেজের হরিণের মধ্যে পাওয়া যে ভাইরাসের ক্রমটি মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাসের ক্রমটি সঙ্গে তুলনা করি তখন আমরা দেখতে পাই যে ভাইরাসের ক্রম পরিবর্তিত হচ্ছে এবং হরিণের শরীরে ঢুকছে।”

বিজ্ঞানীরা নতুনভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের মতে প্রাণীদের শরীরে এইভাবে যদি এই ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে তা ভয়ানক বিপদ হয়ে সামনে আসতে পারে।