সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

৩ চোখ বিশিষ্ট বাছুর ন’জ’র কা’ড়’লো সোশ্যাল মিডিয়ায়, ভিডিও ব্যা’প’ক ভাইরাল

বর্তমান প্রযুক্তি আজ আমাদের এমন এক জায়গায় দাঁড় করিয়েছে যেখানে গোটা পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয়। চারিপাশে হাজারো ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে। আর আজ ঘরে বসেই মানুষ সেই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী হতে পারছে। এখন মুহুর্তের মধ্যেই কোনো এক ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে। এই ভাইরাল ভিডিওর আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াছড়ি। ভাইরাল এই সমস্ত ভিডিওগুলিতে কখনও কখনও অদ্ভুত সব প্রতিভার দেখা মেলে তো কখনো আবার অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনার দর্শন পাওয়া যায়। তাই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াই আমাদের বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ছত্রিশগড়ের এক অদ্ভুত ঘটনা। ঘটনাটি রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো।

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ছত্রিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার বাসিন্দা নিরাজ চান্দেলের ঘরে জন্ম নিয়েছে তিন চক্ষু বিশিষ্ট একটি বাছুর। আর এই বাছুরের জন্ম নিরাজের পাশাপাশি অবাক করেছে অন্যান্য গ্রামবাসীদেরও। অধিকাংশ গ্রামবাসী বাছুরটিকে ভগবান শিবের অবতার হিসেবে ধরে নিয়েছেন। সেই কারণে তাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে পুজো। নিরাজের বাড়িতে গ্রামবাসীদের পুজো দেওয়ার লাইন লেগে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা হাতে নারকেল ও টাকা নিয়ে পুজো দিতে আসছেন। ছত্রিশগড়ের রাজনন্দগাঁও জেলার বাসিন্দারা মেতে রয়েছেন এই বাছুরটিকে নিয়ে। এও জানা গেছে, যে গোরুটি এই বাছুরটির জন্ম দিয়েছে সে এই বাছুরটির জন্ম দেওয়ার পর আরও দুটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে, যারা একেবারেই স্বাভাবিক।

বাছুরের মালিক নিরাজের বক্তব্য, বাছুরটি যখন জন্মায় তখন তিনি নিজেও বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। ভালো করে খেয়াল করে দেখেন এই বাছুরটির তিনটি চোখ এবং চারটি নাসিকা ছিদ্র। এমনকি তার লেজটিও স্বাভাবিক নয়, যেন কেউ বিনুনি বেঁধে রেখেছে। এমন অদ্ভুত জিনিস দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। কারণ এর আগে এমন বাছুর সে কোথাও দেখেনি। তার জন্ম হওয়ার পর থেকেই গোটা গ্রামবাসীর লোকজন তাকে দেখতে তার বাড়িতে ছুটে আসেন। কারণ এই দৃশ্য সত্যিই বিরল।

জন্মাবার পর বাছুরটিকে নিকটবর্তী পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, এমন ঘটনা অদ্ভুত কিছু নয়, বরং হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জন্যই এমন বাছুরের জন্ম হয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা এই ধরনের হরমোনের সমস্যা নিয়ে জন্মানো প্রাণীরা বেশিদিন বাঁচে না। অনেকক্ষেত্রে তারা ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত বাঁচলেও তাদের গড় আয়ু ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি হয় না। তবে ডাক্তারের কথা অনুযায়ী তিন চক্ষু বিশিষ্ট বাছুরটি এখন একেবারে সুস্থ আছে।