সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কন্যা সন্তানের জ’ন্ম হলে কো’নো ফি নেন না এই ডাক্তারবাবু, জানুন অ’বা’ক করা ক’থা

ভারত মাতার এই দেশে আজও অনেক জায়গায় কন্যাভ্রুণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়াই চলে। লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে প্রায়শই কন্যাভ্রুণ হত্যা করা হয়। আর সেই সমস্যাতেই প্রশাসনও বেশ উদ্বিগ্ন। আর সেই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ আন্দোলনে সামিল হলেন মহারাষ্ট্রের এক চিকিৎসক ডাঃ গণেশ রাখ। শোনা যাচ্ছে, তাঁর নিজস্ব মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে কন্যা সন্তান প্রসবের জন্য একটি টাকাও নেন না। বরং সেই সব কন্যার জন্ম উদযাপন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে।

এক দশক ধরে চলে আসা তার এই অসাধারণ উদ্যোগ সত্যিই কুর্নিশ জানানোর মতো। সম্প্রতি এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পুনের হাডাপসার এলাকায় ডাঃ গণেশ রাখের মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বিনামূল্যে কন্যা সন্তান প্রসব করানো হয়। এ প্রসঙ্গে ডাঃ রাখ জানান, গত ১১ বছরে ধরে তিনি এটি পালন করে আসছেন।

এতদিন পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। আর এর জন্য হাসপাতালের তরফে একটি পয়সাও কখনও বিল করা হয়নি। এর পাশাপাশি ভ্রূণ হত্যার ব্যাপারেও মানুষকে সচেতন করা হয় এখানে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, কন্যা সন্তান জন্ম নিলে সেই খুশির মুহুর্ত কেক কেটে এবং মিষ্টি বিতরণ করে হাসপাতালে উদযাপন করা হয়।

আরো পড়ুন: রাজ্যকে ৫৮০ কোটি দিলো কেন্দ্র, শর্ত একটাই “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা”-র লো’গো লাগাতে হ’বে

চিকিৎসকের মতে, “এইভাবেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। ছেলে হলে আনন্দে মিষ্টি কেনার বহর লেগে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে মেয়ে হলে তার মুখ পর্যন্ত দেখতে আসেন না। বরং লজ্জায় পড়ে যান। আর এই কারণেই সচেতনতার প্রচার চালানোর মধ্য দিয়ে আমি বিনামূল্যে কন্যা সন্তানের প্রসব করাই।”

ডাঃ গণেশ রাখে এও বলেন, “১১ বছর আগে যখন আমি বেটি বাঁচাও আন্দোলন শুরু করি, তখন তাঁর অংশ হিসেবে হাসপাতাল কন্যা সন্তান প্রসব করা হয় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সেই সাথে কন্যার জন্মও উদযাপন করা হয়।” শুধু তাই নয়, মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে হাসপাতাল থেকে মা ও সন্তানের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাও করা হয়। আর এই কাজে বহু মানুষ ও সংস্থা তাঁর হাসপাতালকে সাহায্য করে বলেই সব কাজটা নির্বিঘ্নে ঘটানো সম্ভব হয়।