সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাজ্যকে ৫৮০ কোটি দিলো কেন্দ্র, শর্ত একটাই “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা”-র লো’গো লাগাতে হ’বে

সামনেই রাজ্য গ্রামীণ পঞ্চায়েত ভোট তাই গ্রামের নানা দুরবস্থার কথা প্রায়ই দেখানো হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের চ্যানেল গুলোতে। কথাও জলের সমস্যা কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের চলার রাস্তা গুলোর বেহাল অবস্থা, ভেঙে চুরে পথ চলা দায় হয়ে গিয়েছে। আর ঠিক এই সময়ে দাড়িয়ে লক্ষ্মী লাভ হলো রাজ্য সরকারের। গ্রামের এই রাস্তা গুলোর অবস্থা দেখার পর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৫৮৪ কোটি টাকা পেল রাজ্য।

মূলত পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত জায়গা গুলোয় রাস্তা নির্মাণের জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের অধিকর্তা দেবেন্দ্র কুমার রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে ১৪৪টি রাস্তা নির্মাণের অনুমোদনের কথা জানান। যার প্রতি কিলোমিটার নির্মাণ খরচ হবে ৬৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকা।

তবে এই রাস্তা নির্মাণের পিছনে কিছু শর্ত বাধ্যতামূলক করা হয়। যেমন সেখানে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নির্দেশিকা মেনে তবেইএই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। নির্মাণের পর মানুষকে অবগত করতে, ওই রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা লোগো দেওয়া বোর্ড লাগাতে হবে।

আরো পড়ুন: কলকাতাতে কি শীত স্থা’য়ী হ’বে? কি আভাস দি’লো হাওয়া অফিস?

এছাড়াও স্থানীয় সাংসদ এই কাজে নিযুক্ত হলে ওখানের স্থানীয় বিজেপি সাংসদকেও নিযুক্ত করতে হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, স্থানীয় সাংসদ বা এমপি-কে প্রকল্পের কাজে যুক্ত করার সাথে সাথে তাঁদের দিয়ে উদ্বোধনও করাতে হবে রাস্তা। এ ছাড়াও এই রাস্তাগুলি নির্মাণের পর রাস্তার দু’ধারে বাধ্যতামূলকভাবে ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে ফল বা অন্য ধরনের গাছ লাগাতে হবে। এ ছাড়াও গুণগত মান রক্ষায় নির্মাণ সংক্রান্ত গাইড লাইনও মানতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে।

সাথে এও বলা হয়েছে যে, অনলাইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম যে ১৪৪টি রাস্তার তালিকা দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সেই রাস্তাগুলিই নির্মাণ করা যাবে। অন্য রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে চলবে না। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে জানানো হয় রাস্তা নির্মাণে কেন্দ্র দেবে ৩৪৩ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা।

রাজ্যকে দিতে হবে ২৪১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্র দেবে ৬০% এবং রাজ্য দেবে ৪০ শতাংশ টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বরাবরই প্রধান মন্ত্রী লোগো ব্যাবহার করতে চাইতেন না। কিন্তু এবার এই চিঠী পাওয়ার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।