আজ নেতাজির জন্ম জয়ন্তী। তার মত রাষ্ট্রনায়ক ভারতবর্ষে আর দুটি জন্মাননি। তার জন্ম বৃত্তান্ত জানা গেলেও মৃত্যু সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। ভারতের স্বাধীনতা লাভের নেতাজীর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তিনি একজন প্রকৃত নায়কের মতোই দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতেন তার ভাবনা-চিন্তার দ্বারা। তার মুখনিঃসৃত বিভিন্ন উক্তি বিভিন্নভাবে দেশের নাগরিককে দেশের প্রতি উদ্বুদ্ধ হতে সাহায্য করে।
‘তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’, নেতাজির এই উক্তির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। তবে এছাড়াও নেতাজির আরও কিছু বার্তা রয়েছে যা উদ্বুদ্ধ করেছে। যেমন “মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন প্রাণবন্ত”। তাছাড়াও বাঙালিকে নিয়ে উনি বলেছেন, “নরম মাটিতে জন্মে ছিল বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ”। সমাজের প্রতি গভীর চিন্তা-ভাবনা থেকে তার উক্তি, “আমাদের সবচেয়ে বড় জাতীয় সমস্যা হল দারিদ্র্য, অশিক্ষা, রোগ, বৈজ্ঞানিক উৎপাদন। যে সমস্যাগুলির সমাধান হবে, কেবলমাত্র সামাজিক ভাবনা-চিন্তার দ্বারা।”
নেতাজি আরো বলেছেন, “জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙ্গে না, সে বস্তু ভাব বা আদর্শ”। তিনি বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গ এবং শিক্ষা না পাইলে, জীবন মরুলোকে নির্বাসনের মত, সকল রস ও অনুপ্রেরণা হারায়।” তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো, “জীবনের প্রগতির আশা নিজেকে ভয়, সন্দেহ থেকে দূরে রাখে এবং তার সমাধানের প্রয়াস চালাতে থাকে।” এছাড়াও তাঁর বিখ্যাত কিছু উক্তি হলো,
“ভারত ডাকছে। রক্ত ডাক দিয়েছে রক্তকে। উঠে দাঁড়াও আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। অস্ত্র তোলো!..যদি ভগবান চান , তাহলে আমরা শহিদের মৃত্যু বরণ করব।”
“বাস্তব বোঝা কঠিন। তবে জীবনকে সত্যতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সত্যকে গ্রহণ করতে হবে।”
“মানুষ, টাকাকড়ি ,বাহ্যিক আড়ম্বর দিয়ে জয়লাভ বা স্বাধীনতা কেনা যায় না। আমাদের আত্মশক্তি থাকতে হবে, যা সাহসী পদক্ষেপ নিতে উত্সাহ দেবে”।
“নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না।”
“যদি জীবনে সংগ্রাম, ঝুঁকি না থাকে , তাহলে জীবন বাঁচাটা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়।”
“স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।”
“কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।”
“শুধু আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোন আসল পরিবর্তন সাধিত হয়নি।”
“মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।”
