এমন কিছু কিছু মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যা দেখলে আমরা কেঁপে উঠতে বাধ্য হই। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমাকে কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল যা দেখে সকলে। স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন উড়িষ্যার কালাহান্ডির এক বাসিন্দা।
সেই বাসিন্দার নাম দানা মাঝি। পাশে 12 বছরের এক মেয়ে হেঁটে চলেছে। হতদরিদ্র এই আদিবাসীর এটি গাড়ি জোগাড় করার টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রীর দেহ 12 কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার ভিডিও দেখে চমকে উঠেছিল সারা দেশ। এবার তেমনই এক দৃশ্য দেখা গেল ছত্রিশগড়ে।
শববাহী গাড়ি না পেয়ে মৃত কন্যা দেহ নিয়ে 10 কিলোমিটার হাঁটলেন স্থানীয় এক গ্রামবাসী। স্থানীয় সে গ্রামবাসীর নাম ঈশ্বর দাস। নাম ঈশ্বর হলেও ঈশ্বরের কাছে ভীষণ ভাবে অসহায় তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: কলেজে পড়া যা’বে না ছেঁ’ড়া জিন্স, কলকাতার কলেজের ফতোয়া নিয়ে বি’ত’র্ক তু’ঙ্গে
ভিডিওটি ভাইরাল হতে না হতেই ছত্রিশগড় সরকার নড়েচড়ে বসেছেন। ছত্রিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিংহ এই ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুসারে, আম্বালা গ্রামের বাসিন্দা ঈশ্বর তাঁর 7 বছরের মেয়ে সুরেখাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লক্ষণপুর এর সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলেন শুক্রবার ভোর বেলা।
Surguja: Chhattisgarh Health Min TS Singh Deo orders probe after video of a man carrying body of his daughter on his shoulders went viral
Concerned health official from Lakhanpur should have made the father understand to wait for hearse instead of letting him go, Deo said(25.3) pic.twitter.com/aN5li1PsCm
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) March 26, 2022
সেখানে কিছুক্ষণ পর সুরেখা মারা যায়। মেয়ের দেহ গ্রামে নিয়ে আসার জন্য কোন গাড়ি পাননি ঈশ্বর। অবশেষে কোন উপায় না দেখতে পেয়ে 10 কিলোমিটার দূরে আমতলার উদ্দেশে রওনা হন মৃত মেয়েকে নিয়ে। লক্ষণপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক এই বিষয়ে বলেন, মেয়েটির অক্সিজেনের মাত্রা খুব কমে গিয়েছিলো।
এই বিষয়ে মৃত মেয়েটির বাবা-মা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রবল জ্বরে ভুগছিল মেয়ে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করার পরে অবস্থার অবনতি হয়।
চিকিৎসক বিনোদ জানিয়েছেন, সুরকার দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে নটা নাগাদ লক্ষণপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকারি গাড়ি এসেছিল। কিন্তু তার আগেই মেয়ের দেহ কাঁধে তুলে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন ঈশ্বর।