সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অরণ্যের মধ্যে ছ’ড়ি’য়ে ছি’টি’য়ে আছে সোনা! সূর্যের আলো পড়তেই ধ’রা পড়লো মহাকাশ থেকে

গোটা অরণ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে গাছপালা নয় সোনা। এমনই সোনার ভান্ডার ধরা পড়েছে মহাকাশ থেকে। সেই ছবি প্রকাশ করেছে মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসা। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে রয়েছে এমনই একটি সোনার জঙ্গল। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পেরু। সেই দেশের সবচেয়ে বড় সোনার খনি মাত্রে দে দিয়স।

আমাজন জঙ্গল নাকি ওই খনির জন্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সোনা নিষ্কাশন করবার জন্য পারদ ব্যবহার করা হয় আর তারপরে যথেচ্ছ হারে প্রকৃতির ধ্বংস হচ্ছে দূষণ বাড়ছে আমাজনে। এই জঙ্গলে সোনা খোজার উপর নির্ভর করে থাকেন হাজার হাজার পরিবার।

পেরুতে যে সোনার খনি রয়েছে তার সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খবর শোনা যায়। এমন আকর্ষণীয় সোনার খনি দেখে অবাক হয়েছেন নেট জনতা। মহাকাশ থেকে তোলা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সোনা ঠিকরে আসছে। সূর্যের আলো পড়লেও এত চকচক করে না ওই জায়গা। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে রয়েছে এই সোনার খনি।

আরো খবর: প্রাথমিক শিক্ষক নি’য়ো’গ মা’ম’লা’য় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

অ্যামাজনের মাইলের পর মাইল ঘন অরণ্য এই সোনার খনির জন্যই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই সোনার জঙ্গল। খনির বাঁদিকে একটি নদী দেখা গিয়েছে। আবার ডান দিকে রয়েছে কয়েকটি গর্ত সেখানেও পড়ে রয়েছে টনটন সোনা।

সোনা খনন করতে মিথাইল মার্কারি নামে এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ১৯৯০ সালে অবৈধভাবে সোনা উত্তোলন করার জন্য ১৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। নাসা যে ছবি প্রকাশ করেছে তার নিচের অংশে রয়েছে নয়বা এরকিয়া।

সোনার জঙ্গলের কিছু অংশ টেম্বপাতা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে পড়ে। তবে ওই সোনার সব রকম সুরক্ষা রয়েছে। ইচ্ছে হলেই ওই জঙ্গল থেকে সোনা কুরিয়ে আনতে পারবেন না।