সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পুজো শে’ষ হলেই ২০ হাজারের বেশি শূন্যপদে নি’য়ো’গ! প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে আশা’বা’দী সকলেই

বহুদিন ধরে চলা লড়াইয়ের অবসান হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আমরা কোলকাতার রাস্তা তে বেরোলেই দেখতে পাই কিভাবে একদল ছাত্র বা বলা ভালো আগামী দিনের শিক্ষকেরা আন্দোলন। করছেন তাদের যোগ্যতার বিনিময়ে একটা সরকারি পাওয়ার জন্য। কতবার নবান্নে গিয়ে ধর্না দিয়েছেন তাঁরা। কাজ তবু হয়নি। কত সবার মেরিট লিস্ট তে নাম উঠলেও চাকরি পান নি এরকম অভিযোগ ও দেখেছি আমরা। বিশেষ করে করোনার জন্য লকডাউনের সময়ের পরবর্তী সময়ে আরো আন্দোলন করেছেন তাঁরা তবু তাদের ভাগ্যে শিকে ছেরেনি।

শেষ অব্দি তারা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা করে দেয় হাইকোর্টে। আর অবশেষে এভাবেই তাঁদের দীর্ঘ দিনের করা কষ্ট সফল হয়। জানা যাচ্ছে খুব তাড়া তাড়ি প্রায় ২০০০০ টি শূন্যপদে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। শুক্রবার অ্যাড হক কমিটির বৈঠকে এই নিয়েই আলোচনা হয়। এবং জানা যায় যে, পূজো মিটলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই আলোচনার সিলমোহর দেওয়া হয় আজই।

বলা হয় এর মধ্যেই নিয়োগের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। শূন্য পদ পেলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বোর্ড সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ” টেট-এর বিষয় আলোচনা হয়েছে। টেট পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন ঠিক করার জন্য আইনানুগ পরামর্শ নেব।

আরো পড়ুন: বাংলার দেশি ম’দ নয়া ব্র্যান্ডিংয়ে আসবে পুজোর আগেই! দা’ম কি বা’ড়’বে?

টেট-এর দিন ঘোষণার আগে যেহেতু এর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা জড়িত তাই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। একটা বড় পরীক্ষা নিতে গেলে আলোচনা করতে হবে উচ্চ পর্যায়ে। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেই তারিখ জানাব। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাড়াতাড়ি পরীক্ষার ব্যবস্থা করার।”

এছাড়াও তিনি জানান, যতোটা তাড়াতাড়ি সম্ভব এগোচ্ছেন তাঁরা। পুজোর পরেই যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন তাঁর জন্য সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী শূন্যপদ খোঁজার চেষ্টা করছেন প্রশ্ন ভুল মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে যে অর্ডার পেয়েছে সেটা নিয়েও ভাবছেন তাঁরা কি করা যায়।

নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য অন্য সিলেবাস তৈরি করা যায় কিনা সেটাও দেখছেন তাঁরা। অর্থাৎ বলা যায় খুব তাড়াতাড়ি সবটা জানাবেন তাঁরা সেই আশ্বাসই দিচ্ছেন। এতদিন পরে যে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কাজ এগোচ্ছে এতে খুশি টেট পরীক্ষার্থীরা বা আগামী দিনের শিক্ষকেরা।