সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মায়ের প্রতিভাকে কা’জে লাগিয়ে দুই বোন শু’রু করেছিলেন ব্যবসা, আজ বা’র্ষি’ক টার্নওভার ১৫ কো’টি

জীবনে বড় কিছু করতে গেলে যেমন কঠোর পরিশ্রম এবং অসীম ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয় তেমনই সবার প্রথমে যা দরকার তাহল সঠিক সিদ্ধান্তের। আজকের প্রতিবেদনে মুম্বই-র এক মা এবং তার দুই মেয়ের কথা বলতে এসেছি আপনাদেরকে। মুম্বইয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে তারা তাদের ব্যবসা শুরু করেন।

তারা ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে। তবে এখনকার বার্ষিক টার্নওভার শুনলে আপনারা নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। বর্তমানে তাদের বার্ষিক টার্নওভার ১৫ কোটি টাকা! বর্তমানে মুম্বই-ভিত্তিক বিখ্যাত দ্য ইন্ডিয়ান এথনিক কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা লেখিনি দেশাই।

তিনি তার মা এবং ছোট বোনের সাথে বাড়ির বেডরুম থেকে শুরু করেছিলেন ভারতীয় তাঁত এবং হস্তশিল্পের ব্যবসা। ২০১৬ সালে এই ব্যবসা তারা শুরু করেছিলেন, মাত্র ৬ বছরের মধ্যে এতটা উন্নতি।

আরো পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়ার ব্রেনওয়াশ ক’রে ধর্মান্তরিত করার চে’ষ্টা, সা’স’পে’ন্ড শিক্ষিকা

এ প্রসঙ্গে লেখিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, “আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, তবে ছোটবেলা থেকে এখনও পর্যন্ত আমাকে দোকান থেকে রেডিমেড কিছু কিনতে হয়নি, কারণ আমার মা আমার বেশিরভাগ পোশাক ডিজাইন এবং প্রস্তুত করেছেন।” মুম্বই-য়ের লেখিনি দেশাই এবং হেতাল দেশাইয়ের মা এরকমই একজন দক্ষ ডিজাইনার। তবে জানেন কি!

দুই বোন এবং মা দুজনের কারোরই টেক্সটাইলের মতো কোনো কোর্সে বড় কোনো ডিগ্রিই নেই। যা সবচেয়ে অবাক করার মতো একটি বিষয়। লেখিনি দেশাই এনএমআইএমএস থেকে মার্কেটিংয়ে MBA করেছেন।

একই সঙ্গে হেতাল এমএস ইউনিভার্সিটি বরোদা থেকে হোম সায়েন্সে মাস্টার্স করেছেন। কিন্তু, ফ্যাশন এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি ঝোঁক সবসময় তাদের এই ব্যবসার দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। এরপর দুই বোনই মায়ের কর্মদক্ষতাকে তুলে ধরেন ব্যবসা রূপে।

আরো পড়ুন: নির্যাতিতার শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করতে পা’র’লো না পরিবার, সময় দিয়েও এলেন না পুরোহিত

লেখিনির কথায়, “আমাদের এহেন কর্মকাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ার খুব বড় ভূমিকা আছে। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির পুরানো ছবি দেখলেই বোঝা যায় যে আমরা খুব পেশাদার পদ্ধতিতে মার্কেটিং শুরু করিনি। তখন তথ্যের অভাব ছিল।

তা সত্ত্বেও, এক সন্ধ্যায় যখন একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আমরা তাতে কিছু ছবি আপলোড করি, তখন গোয়া থেকে প্রথম অর্ডার পেয়েছিলাম আমরা, তারপরে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় এবং আমরা কাজ শুরু করি। সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়।”