সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নির্যাতিতার শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করতে পা’র’লো না পরিবার, সময় দিয়েও এলেন না পুরোহিত

আরেকটি লজ্জা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা হলো হাঁসখালির ঘটনা। মৃত্যু দশম দিনে নির্যাতিতা নাবালিকার শ্রাদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, তার ফলে কিছুটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে একমাত্র মেয়ের শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করতে পারলেন না সেই পরিবার। নাবালিকার গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই নিজের বাড়িতে পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা এখনো অব্যাহত।

এর মধ্যে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা। তাদের ভর্তি করাতে হয়েছিল বুধবার হাসপাতালে। ঐ শরীর নিয়ে মেয়ের শ্রাদ্ধের যৎসামান্য আয়োজন করেছিলেন মৃত মেয়েটির বাবা। নির্যাতিতার জেঠিমা বলেছেন, বেঁচে থাকতে তো কিছু করতে পারিনি, অন্তত শেষ কাজটা করব।

আরো পড়ুন: চৈত্র মাস আজকেই শেষ, কো’থা’য় গে’লো কালবৈশাখী?

আগেই বলা ছিল গ্রামের পন্ডিত হারান চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা। নখ কাটার জন্য গ্রামের এক নাপিত কে বাড়িতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে ওই নাপিত এবং পুরোহিত আসবেন না বলে জানিয়ে দেন।

এরপরই সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে ওই পুরোহিতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেই তিনি বলেন, সামান্য উপার্জন করে খাই এই বিষয়ে জড়াতে চাইনা। অন্যদিকে হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তভার মঙ্গলবার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল ইতিমধ্যেই গেছে নির্যাতিতার বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে ওই পুরোহিত এবং নাপিত এই বিষয়ে জড়াতে চান না বলেই বোঝা যাচ্ছে। হাজার হোক থানা পুলিশের ব্যাপার তো!!