শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক শিক্ষককে আগাম শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর পরই সমস্ত স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে, এমন বার্তাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে কমছে, তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে আরও একবার স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে যেতে পারবেন সকলে, এমন আশাই করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো জানান, আগামী দিনে সিএমও তে ইন্টার্ন নেওয়া হবে। প্রতিবছর ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। ফিল্ডে ফিল্ডে কাজ করানো হবে প্রত্যেকেকে। কাজের শেষে দেওয়া হবে শংসাপত্র, ছাত্রদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এই শংসাপত্র ভীষণভাবে কাজে লাগবে।
লকডাউন প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী পনেরোই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে বিধি নিষেধ চালু করা ছিল, তা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৩০ সেপ্টেম্বর করে দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি বলেন, সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে আমরা ট্যাব দিয়েছি। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিয়েছি। এত সুযোগ সুবিধা আমাদের সময় পাওয়া যেত না। ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি হবার জন্য সমস্ত সুযোগ সুবিধা আমরা করে দিচ্ছি, কাউকে অর্থাভাবে আটকে থাকতে হবে না। সকলকে আমরা চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি চাকরি নিয়ে চিন্তা করলে চলবে না। বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ছাত্রদের ছিমছাম আয়োজন করার উপদেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে কোন কথা বলতে চাননি তিনি। উল্টে তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছেন, কিভাবে গতবছরের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ও সাড়ে ৬ হাজার অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে।
