সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নেতাজীর আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় সৌধ ঘোষণা করলো সিঙ্গাপুর প্রশাসন

আগামী ১৫ ই আগস্ট আমাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস। বহু লড়াই বহু প্রচেষ্টায় স্বাধীনতা এসেছে আমাদের দেশে। কত মানুষের যে প্রাণ গেছে তা হয়তো গুনে শেষ করা যাবে না। আর এই স্বাধীনতা দিবসে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাক্তিকে প্রত্যেকটা মানুষ স্মরণ করে তিনি হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়া আমাদের দেশ স্বাধীন হয়তো হতো না।

তাঁর শিক্ষা- দীক্ষা তাঁর বিচার- বুদ্ধি তাঁর নেতৃত্বের কৌশল সব কিছুই আমাদের দেশের জন্য বিরাট কাজে লেগেছে। আর এই মানুষটি যে সবচেয়ে বেশি সন্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাই ভারতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে পেডাংয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনীর (Azad Hind) স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করে নেতাজিকে সম্মান জানাল সিঙ্গাপুর সরকার । ১৯৪৩ সালে জুলাই মাসে ঐতিহাসিক ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

আরো পড়ুন: ১ টা’কা বিনিয়োগে ২ টা’কা রিটার্ন, পোস্ট অফিসের এই স্কিম স’ম্প’র্কে আগে থে’কে কো’নো কিছু জা’না আছে?

পেডং কথার অর্থ হচ্ছে একটি ক্ষেত্র। ঔপনিবেশিক আমলে জনসাধারণের জন্য কয়েকটি খোলা জায়গার মধ্যে পেডং অন্যতম বলে ন্যাশনাল হেরিটেজ বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যা সিঙ্গাপুরের একটি ঐতিহাসিক স্থান বলেও মনে করা হয়।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হেরিটেজ বোর্ড বলেছে, “দৃঢ় জাতীয় ঐতিহাসিক ও সামাজিক তাৎপর্য বিবেচনা করে স্মৃতিস্তম্ভটিকে সংরক্ষণ করা হবে। তার সাথে সিঙ্গাপুরের স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ আইনের অধীনে সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা প্রদান করা হবে স্মৃতিস্তম্ভটিকে।”

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির সাউথ এশিয়ার স্টাডিজের প্রধান অধ্যাপক রাজেশ রাই বলেন – সিঙ্গাপুরের পেডং জায়গাটির সাথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ন্যাশনাল আর্মির যোগসূত্র ছিল।

তাঁরা এই জায়গাতেই ভারতীয় সেনা প্রথম তাদের ক্যাম্প সাইট তৈরি করেছিলেন বলে সংবাদসংস্থা PTI-কে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির সাউথ এশিয়ার স্টাডিজের প্রধান।

রাজেশ রাই আরও বলেন যে – পেডংই হলো সেই জায়গা যেখানে সুভাষচন্দ্র বসু প্রথম বার তাঁর এইএনএ সৈন্য এবং স্থানীয় ভারতীয় জনগণের কাছে ‘ দিল্লি চলো ‘ ডাক দিয়েছিলেন।

শুধু তাই নয় ঝাঁসির রানী রেজিমেন্টও তৈরি করেছিলেন তিনি এখানেই। ভারতকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করতে ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি এখন থেকেই। পরে যুদ্ধ শেষ হলে আইএনএ – এর একটি স্মৃতিসৌধ বানিয়েছিলেন বলে জানায় ওই অধ্যাপক।

আরো পড়ুন: আরো বেশি সুন্দরী হতে গিয়ে সব ন’ষ্ট, অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ঠোঁ’টে’র আ’কৃ’তি বি’গ’ড়ে গেলো মাধুরীর

এছাড়াও, পেডাং শহরে ৭৪টি জাতীয় স্মৃতিসৌধ রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি সৌধ ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত। ১৯৪৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাপানিদের আত্মসমর্পণের পর বিজয় কুচকাওয়াজ পেডাং – এই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা সিঙ্গাপুরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আসছে।

তাই ভারতের স্বাধীনতা দিবসের এই ৭৫ বছর পূর্তিতে সিঙ্গাপুর বাসীর নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর স্মৃতিস্তম্ভকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সন্মানঙ্গাপন ভারতের ইতিহাসে স্মরণীয় বলে মনে করা হচ্ছে।