বুধবার হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে দ্বিতীয় দিন। সেখানে তিনি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তো অবশ্যই ও বিভিন্ন বড় বড় রণ কৌশলের জন্যও উপস্থিত হয়েছেন, তার উদ্দেশ্য একটাই মোদী হাটাও দেশ বাচাও। আর সেই সূত্র ধরেই গতকাল বুধবার হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় ভি আই পি পার্সনের সাথে বৈঠক সেড়েছেন, যেখানে উপস্থিত ছিল জাভেদ আখতার, মেধা পাটেকর, রিচা চাড্ডা, শোভা দে, প্রীতিশ নন্দী, মহেশ ভাটের মতো বিশিষ্ট জন। আর সেই বৈঠকের উদ্দেশ্যও কিন্তু একটা মোদী হাটাও। তৃণমুল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর এই পদক্ষেপ যে অনেকটাই সূক্ষ ও চিন্তাশীল সেটা স্বীকার করেছেন সবাই।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, এই বৈঠকে মহেশ ভট্ট জানিয়েছেন যখন বিজেপির শাসনে দেশে অন্ধকার নেমে এসেছে ঠিক তখনই মমতা ব্যানার্জী আশার আলো দেখিয়েছে। সবই ঠিক আছে কিন্তু কট্টর অবাম্পন্থীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি? এই উত্তরে তিনি জানায়, সবাইকে একত্র হয়ে লড়াই করতে হবে, যাতে বিজেপিকে বোল্ড আউট করা সম্ভব হয়। আর যেটা আপনারা সবাই পারেন। ভুলে গেলে হবে না এই বিজেপির অগনতান্ত্রিক অত্যাচারের শিকার মহেশ ভট্ট নিজে, এর মধ্যে শাহরুখ খান নিজেও এর শিকার হয়েছেন।
https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/314048197067857/?t=10
বৈঠকে উপস্থিত থাকা অনেকেই তাদের নিজেদের মত ব্যক্ত করেছেন। যাদের মধ্যে জাভেদ আখতার অন্যতম। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর জানিয়েছেন, বাংলা কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে, যা দেখে খুশিও হয়েছে অনেকেই। তবে এই খেলা আরও বড় মাপের করে তুলতে হবে। বিজেপির অগনতান্ত্রিক অত্যাচারে দেশের মানুষ কঠিন পরিস্থতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমাদের কি কি করণীয়? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানায়, মুম্বাই থেকেই শুরু করা হবে, নাগরিক সমাজের কমিটি গঠন করতে হবে। আর এই সংগঠন যদি কলকাতা ও মুম্বাই হয় তাহলে দিল্লি ভয় পেতে বাধ্য। তবে আগামী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এই নিয়েও প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী জানায় সেটা রাজ্যগুলোর ওপরে নির্ভর করছে কিন্তু আমাদের প্রথম কাজ বিজেপি হঠানো ও গণতন্ত্র বাঁচানো।