সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রধান শিক্ষিকার বেতন ৭০ হাজার টা’কা, স্কুলে না এসে প্রক্সির লোককে ১০ হাজার ভা’ড়া

গত ৫ মাস থেকে তিনি স্কুলে আসেন না। প্রক্সি ভাড়া করেই চলছে তাঁর চাকরি। মোট কথা তাঁর হয়ে যিনি দৈনিক স্কুলে আসেন, সে তাঁর হাতের পুতুল। শুনে একটু অবাক হচ্ছেন, এটা কিভাবে সম্ভব? আসলে এক শিক্ষিকা যিনি স্কুলে আসেন না, কিন্তু ঠিক সময়ে বেতনটা তিনি পেয়ে যান।

তাঁর হয়ে প্রক্সি দিত এক যুবতী। তবে হ্যা সেই যুবতীকে মাসিক বেতন দিত শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। ব্যাপারটি সামনে আসতেই দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়, এরপরেই শিক্ষিকাকে সাস্পেন্ড করা হয়েছে তাঁর সাথে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

উত্তরাখন্ডের পারুই গাড়োয়াল জেলায় একেশ্বর ব্লকের বানথোলি গ্রামের এক প্রাইমারি স্কুলের এক ঘটনা।প্রধান শিক্ষিকার নাম দ্রৌপদী মাধায়াল। জানা গেছে তাঁর বেতন ৭০ হাজার টাকা সেটা সে সময় মতোই তুলে নিত কিন্তু তাঁর থেকে প্রক্সির জন্য যাকে রেখেছিল তাকে দিতে হত প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা।

আরো পড়ুন: নুসরত এখন অতীত, এক অভিনেত্রীর সঙ্গে নতুন করে স’ম্প’র্কে জড়িয়েছেন নিখিল

কিন্তু একজন প্রধান শিক্ষিকা হয়ে এমনটা করার কারণ কি? তাছাড়া ব্যাপারটাই বাঁ কিভাবে জানা গেল? এই অভিযোগ নাকি বেশ কিছুদিন থেকেই আসছিল তবে সেই নিয়ে তেমন একটা আমল দেননি স্থানীয় ব্লক শিক্ষা আধিকারিকরা।

কিন্তু এর পরেও যখন গ্রামবাসীদের অভিযোগ তারা নতুন করে পায় তখনই তাঁদের কানে জল ঢোকে। এর পরেই সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আসতে বেশি সময় লাগে না। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে সাস্পেন্ড করা হয়েছে।

এই বিষয় নিয়ে ব্লক শিক্ষা দফতরের অফিসার জানিয়েছে, এর আগেও আমরা গ্রাম্বাসীদের কাছ থেকে অনেকবার এমন অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষিকার বদলে একজন যুবতি আসে স্কুলে। সে এসে ক্লাস নেয়। এটা নাকি গত ৫ মাস থেকে চলছিল। কিন্তু হঠাতই যখন স্কুল পরিদর্শনে যাই তখন সত্যতা সামনে আসে।