প্রায়ই চোখের সামনে ঘটতে দেখা যায় যে গাড়ির চাকায় কুকুরেরা মূত্রত্যাগ করে৷ কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা করে তারা?
ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি দেখলেই সেখানে উপস্থিত হয় কুকুর এবং পা তুলে চাকায় প্রস্রাব করে৷ এর পিছনে কি যুক্তি রয়েছে তা জানতে সারমেয়দের উপর করা হয় একটি সমীক্ষা৷ আর সেখান থেকে পাওয়া যায় এর উত্তর।
বনি ভি বেভার তাঁর বই ক্যানাইন বিহেভিয়ার, ইনসাইটস অ্যান্ড আনসারস-এ জানিয়েছেন যে মূত্রত্যাগের সময় ৬৮ শতাংশ স্ত্রী সারমেয় স্কোয়াট পজিশনে বসে৷ যদিও ৯৭ শতাংশ পুরুষ সারমেয় চিরাচরিত প্রথায় মূত্রত্যাগ করে৷
আরো পড়ুন: সরকারি সুবিধার লো’ভে নিজের স্ত্রীকেই পুনরায় বি’য়ে যুবকের! শ্রীঘরে ছাত্রনেতা
এইভাবে কোনো টায়ার বা পোলে মূত্র ত্যাগ করে তারা নিজস্ব চিহ্ন রেখে যায়৷ আর সেই বার্তাই ছড়িয়ে পড়ে অন্য কুকুরদের কাছে৷ ফলে সেই কুকুররা এই একই পথ বেছে নিয়ে জড়ো হয়ে একই জায়গায় মূত্রত্যাগ করে৷
এখান থেকে আরও জানা যায় সারমেয়রা কোন সমানতলে প্রস্রাব করতে পছন্দ করে না কারণ সমানতলে প্রস্রাব করলে সেই গন্ধ বেশিক্ষণ পাওয়া যাবে না৷ আর লম্বা কোনো জায়গায় তা যেহেতু বেশিক্ষণ থাকে তাই সেইসব জায়গাই তাদের বেশি পছন্দের৷
এক্ষেত্রে গাড়ির চাকায় সেই গন্ধ বা দুর্গন্ধ অনেকক্ষণ থাকা সম্ভব৷ তাছাড়া গাড়ির চাকা যতটা উঁচু, তত পর্যন্ত কুকুরে নাকও খুব সহজেই পৌঁছায়৷ ফলে সেই গন্ধ অন্য সারমেয়রাও অনুসরণ করতে পারে৷
এছাড়া অন্য একটি কারণও রয়েছে৷ চাকা যে রবার দিয়ে তৈরি হয়, সেই রবারের গন্ধে কুকুররা আকর্ষিত হয়৷ কারণ রবারের গন্ধ পছন্দ করে সারমেয়রা৷ ফলে সুযোগ পেলেই গাড়ির টায়ারের সামনে তারা চলে আসে এবং মূত্রত্যাগ করে৷