এ যেন বাঘ দেখার প্রতিযোগিতা বললে ভুল বলা হবে না। একের পর এক মানুষ গিয়ে বাঘের গর্জন অনুসরণ করে এগিয়ে যায় তাকে দেখতে। মানুষ তার কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সেই বাঘ দর্শন করতে যায় ।
সবকিছুই ঠিক চলছিল প্রথমে হঠাৎ করে যে পরিস্হিতি হল, তার জন্য সত্যি কেউ প্রস্তুত ছিল না একেবারেই। ছাবুয়া বাইপাসে একটি কালভার্টের নীচে চিতাবাঘ থাকার খবরটি চাউর হতে বেশী সময় লাগে নি , আর সেই খবর পেয়েই মানুষ ভিড় জমায় সেখানে।
শখ একটাই নিজের চোখে একটু চিতাবাঘ দর্শন করবে, তার সাথে ক্যামেরাবন্দি করবে চিতাবাঘ কে। সেই কারণেই কালভার্টের কাছে পৌঁছে একের পর এক ছবি ও সাথে চাক্ষুষ দর্শন করেন বাবাজীকে।
আরো পড়ুন: নেপালের নাইট ক্লাবে রাহুলের সঙ্গিনী আ’স’লে কে? কার বি’য়ে’তে গিয়েছিলেন সোনিয়া পুত্র?
কিন্তু সবকিছুরই তো একটা শেষ থাকে। সেই হিসেবে বাঘটিরও ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় আর একেবারে লাফিয়ে পরে সে। ভিড় ঠেলে সবাই পালানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়, কোনোমতে বাঘের থাবা থেকে নিজেকে বাঁচায় কয়েকজন, কিন্তু পায়ে দারুন চোট পায় কোনো একজন।
কিন্তু বাঘ কি আর তারা করতে ছাড়ে কয়েকজনের পেছনে লাগে বাঘ, শেষপর্যন্ত বাঘ তাড়াতে না পারলেও মানুষ তাড়াতে সক্ষম হয় বাঘটি।
এরপরেই এই খবর বনদপ্তরের কানে আসতেই তিনসুকিয়া থেকে বনকর্মীরা আসে ও ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে বাঘটিকে শান্ত করে পরে নিয়ে যায় তারা।