ইতিমধ্যেই পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। এবারও সেই সাক্ষী তারা রাখল, কারণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বাঁচাতে পুলিশ এবার পেটাল পুলিশকেই।আর এই থেকেই স্পষ্ট প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে একটি জিনিস সেটা হল পাক প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্দরের সংঘাত।
কিছুদিন আগেই ইমরান খানের বাড়ি লাহোরের জামান পার্ক , কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। তোষাখান মামলায় তার বিরুদ্ধে পাক আদালত জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। আর সেই কারণে পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে পৌঁছায়। কিন্তু বিপরীত পাশে আবার জড়ো হয় ইমরান খানের সমর্থকরা।
দুই দলের মধ্যে এক প্রকার সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ইট , পাথর ছুড়তে থাকে পুলিশের ওপরে আবার পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। দুইদলের এই কাণ্ডের কারণে একেবারে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ইমরান খানের বাড়ি। শেষ পর্যন্ত পুলিশকেই পিছু হটতে হয়।
আরো খবর: সাইক্লোনের ব’লি ৩২৬, আফ্রিকায় দীর্ঘতম ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষ’তি’গ্র’স্তদের পাশে মোদি সরকার
এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই যে একটি তথ্য সামনে উঠে এসেছে যা অবাক করার মতো। সেটা হল পুলিশ পেটায় পুলিশকে, ইমরান খানকে বাঁচানোর জন্য।ইমরান খানকে বাঁচানোর জন্যই ইসলামাবাদ পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ ও পাক রেঞ্জারদের উপর হামলা চালায় গিলগিট-বাল্টিস্তানের পুলিশ বাহিনী।
ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার কারণেই গিলগিট-বাল্টিস্তানের পুলিশ বাহিনীর আইজিপি মহম্মদ সইদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর নতুন একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, তার নাম আলি খান খট্টককে। সে ক্ষমতায় এসেই ইমরান খানের বাড়িতে মোতায়েন থাকা গিলগিট-বাল্টিস্তান পুলিশের কর্মীদের সড়িয়ে নিয়েছে।