ছাদের ওপরে জলের ট্যাঙ্ক রাখা থাকে, সে আর নতুন কি? আমরা সবার ছাদের বাড়িতেই জলের ট্যাঙ্ক দেখে আসি। আর সেই ট্যাঙ্ক দেখতে বড় ড্রামের আকারে হয়ে থাকে, কালো নীল ও বিভিন্ন রঙের। কিন্তু এসব এখন অতীত।
যখনই এখন জলের ট্যাঙ্কের কথা বলা হয়, তাহলেই মনে পরে একটি গ্রামের যেখানে জলের ট্যাঙ্কের ভ্যারাইটি লক্ষ্য করা যায়। আর সেই ভ্যারাইটির জন্যই গ্রামের নাম হয়েছে ট্যাঙ্ক ওয়ালা গ্রাম।আসলে গ্রামের নাম উৎপলা গ্রাম।
সেই গ্রামের মানুষের বাড়িতে অন্যধরনের একেবারে আলাদা জলের ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। যার ফলেই মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে সেই গ্রামের প্রতি। বাবা-ছেলে জুটি লুভায়া কৌল এবং তার ছেলে বলবিন্দর কৌলের তৈরি এই ট্যাঙ্কগুলিতে প্রতিফলিত হয় প্রতিটি বাড়ির কোনও না কোনও কাহিনীর।
আরো পড়ুন: পৃথিবীর বু’কে আ’ছ’ড়ে পড়লো গ্রহাণু
আজ্ঞে, তারাই এই ইউনিক জলের ট্যাঙ্ক বানাতে সক্ষম কারো বাড়িতে রয়েছে পদ্ম, কারো বাড়িতে ঘোড়া বা অন্যকিছু।বাবা ছেলে পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা, তাদের এই হাতের কাজে মুগ্ধ সকলে, যার কারণেই তারা এখন শিরোনামে।
ঘটনাটা শুরু হয় ১৯৯৫ সাল থেকে ,একজন তাকে একটি ফুটবলের মতো ট্যাঙ্ক বানানোর অর্ডার দেয় , আর সেখান থেকেই তার এই কাজের সূত্রপাত। এরপরে তার আর পেছনে ঘুরে দেখতে হয়নি।
এই ট্যাঙ্ক তারা কিভাবে তৈরি করে? সবার প্রথমে তারা একটি নকশা তৈরি করে। এরপরেই তৈরি করা হয় স্টিল দিয়ে ট্যাঙ্ক। কাঠামো প্রস্তুত করে দেওয়া হয় ট্যাংকের আকার। সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ার পর করা হয় রং, বর্তমানে জলন্ধরে এই ট্যাংক অন্যতম।