যদি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে সবার উত্তর প্রায় একই হবে। কিন্তু অনেক সময় বাইরের মানুষের চাল-চলন লক্ষ করতে গিয়ে, ঘরের মানুষদের ওপর থেকে নজর সরে যায় ক্রমশ। ঠিক এমনটাই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রে। কারণ হয়তো আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশি ঋণ নেওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে থাকি, কিন্তু আমরা এটা ভুলে যাই যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে সেই পথেই হাঁটছে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নাকি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঋণের দায়ে গভীর অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। খোলাবাজারে এবারও মমতা সরকার ঋণ নিতে চলেছে, এমনটাই জানা গেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞপ্তির মারফতে।আগামী সোমবার ইয়েইড নিতে চলেছে মমতা সরকার, এমনটাই জানা যাচ্ছে। ৩ হাজার কোটি এবার ঋণের পরিমাণ।
এখানেই শেষ নয়, আর বি আই এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এর আগেও মমতা সরকার খোলাবাজার থেকে ঋণ নিয়েছে। কত বছর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা, এবার খোলাবাজার থেকে ফেরত দিচ্ছে মমতা সরকার ৩ হাজার কোটি টাকা।
আরো পড়ুন: ইউক্রেনে কেন এ’তো ভারতীয় পড়ুয়া? ডাক্তারির জ’ন্য কে’ন জনপ্রিয় এই দেশ?
তাহলে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে গত তিন মাসের মধ্যেই মমতা সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবেই ঋণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দারুণভাবে চিন্তিত কারণ, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের পরিমাণ ও জিডিপির একে অপরের মধ্যে অনুপাত ৩০% এর কাছে।
কিন্তু আগামীতে যদি চিনির পরিমাণ আরো বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে পরিস্থিতি একেবারেই হাতের বাইরে চলে যাবে তার সাথে সেই অনুপাত বৃদ্ধি পাবে ৫০%। মোট ১২ টি রাজ্য এই ঋণ নিতে চলেছে সোমবার, মোট ২২ হাজার ২০৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে রাজ্যগুলোকে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঋণের পরিমাণ সর্বাধিক।
