সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক’রো’না’র ভ’য়ে বিগত ৩ বছর ঘরবন্দি! দরজা ভে’ঙে মা-ছেলেকে বাইরে বের করলো পুলিশ

বিশ্বের দ্বিতীয় ভয়ংকর মহামারী হিসেবে আখ্যা দান করা হয়েছে করোনাকে। এমনকি দুটো বিশ্বযুদ্ধেও এত পরিমাণ মানুষের ক্ষতি হয়নি। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে 68 লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গুরগাঁও এর বাসিন্দা এক যুবতী এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এমন এক কাজ করেছেন যা রীতিমত ভয়াবহ।

কাউকে ছুলেই হয়ে যাবে করোনা এক সময় এই বদ্ধমূল ধারণা ছিল বিশ্বের বহু মানুষের। সেই ভয়ে ওই যুবতী নিজের বছর দশেকের ছেলেকে নিয়ে তিন বছর ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। স্বামীকে আলাদা ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেছেন তিনি সম্প্রতি ওই যুবক পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে তার স্ত্রী ও পুত্রকে উদ্ধার করেছে গুরগাঁও থানার পুলিশ।

গুরগাঁও এর বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সুজন মাঝি তিনি পেশার একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার স্ত্রীর নাম মুনমুন মাঝি তাদের বছর দশকের একটি ছেলে রয়েছে। যখন থেকে মারন ব্যাধির বাড়ন্ত শুরু হয় তখন থেকেই ছেলেকে নিয়ে একটা ঘরে বন্দি থাকতেন মুনমুন।

আরো খবর: প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে ঢুকতেই ট্রেন মিস, ট্রেনে ওঠার জন্য বো’মা’ত’ঙ্কে’র ভু’য়ো ফোন যুবকের!

দুশ্চিন্তা ছিল কখন এই ব্যাধি এসে তাদের গ্রাস করে সেই ভয়ে তিনি স্বামী এমনকি বাড়ির কাউকে তাদের ঘরে ঢুকতে দেননি। পেশার কারণে বারবার বাইরে যাতায়াত করতে হয় তার স্বামীকে। খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়ির দরজায় রেখে আসতেন সুজন তড়িঘড়ি তা নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন মুনমুন।

সুজন দাবি করেন গত তিন বছর ধরেই ছেলে এবং বউয়ের মুখ পর্যন্ত তিনি দেখেননি। ছেলে ও বউ দুজনে সূর্যের আলো দেখতে পাননি এভাবে তারা মানসিক অসুস্থ হয়ে যাবেন বলে দাবী করেছেন সুজন।

কথাবার্তা চলছিল কেবলমাত্র ফোনের মাধ্যমে হাজার বার বুঝিয়েও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে তার কথায় দরজা ভেঙে মা এবং সন্তানকে উদ্ধার করল পুলিশ।