সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশের একমাত্র মন্দির যেখানে হাজার বছর পু’রা’নো সাধকের দেহ রা’খা রয়েছে

আপনারা হয়ত শংকরাচার্য ও রামানুজাচার্য এর নাম শুনে থাকবেন। এরা কিন্তু বৈষ্ণব ও শৈব সমাজের ভগবান রূপে মনে করা হয়। শংকরা চার্যকে শিবের প্রতিরুপ হিসেবে ও রামানুজাচার্যকে ভগবান বিষ্ণুর প্রতিরুপ হিসেবে মনে করা হয়।

যদি শংকরা চার্য্যের কথা বলা যায় তিনি ভারতের চার প্রান্তে চারটি মঠ তৈরী করেছিলেন, সেই মঠের যারা প্রধান রয়েছেন তাঁদের হিন্দুরা আদি শংকরা চার্য্যের প্রতিনিধি বলে মনে করেন, এদিকে রামানুজাচার্যের কথা যদি বলা হয়, তাঁর যে সাধন ক্ষেত্র ছিল তাঁর নাম কিন্তু তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর শ্রীরংগনাথস্বামী মন্দির।

এই মন্দিরের কথা যদি শুরু করা যায় তাহলে শেষ করা অসম্ভব, এই মন্দির ১৫৬ একর জমির ওপরে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে ৫০ টি মন্দির, আকারে ছোট তাছাড়া ২১ টি মিনার ও ৩৯ টি নাটমন্দির। এদিকে আবার গ্রানাইট পাথরের তৈরী ১০০০ টি স্তম্ভের হলঘর।

আরো পড়ুন: এই গাছের পাতা বি’ক্রি করেই ১২ লক্ষ মানুষ ইনকাম করেন, আ’য় হয়েছে ৬০০ কোটি টা’কা

এই মন্দিরের স্থাপত্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই, কারণ এর সৌন্দর্য্য ব্যাখা করা কঠিন। মন্দিরের যে প্রধান ফটক রয়েছে তাঁর নাম রাজগোপুরম, উচ্চতা ২৩৭ ফুট। এই সবের মাঝেও একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল রামানুজাচার্য্যের নামেও নাকি একটি মন্দির আছে এখানে। সেখানে রামানুজাচার্য্যের দেহ মমি করে রাখা আছে।

সেখানেই তাঁর ভক্তরা তাকে পুজো করে। ১০১৭ খ্রীস্টাব্দে পেরুম্বুদুরে রামানুজাচার্য্যের জন্ম হয়েছিল। প্রথমে তিনি রংগনাথস্বামী মন্দিরের পুরোহিত থেকেছেন। তাঁর দেহ এভাবে রাখা হয়েছে মন্দিরে সেটা নাকি বিষ্ণুর নির্দেশেই। এমনটাই মনে করেন তাঁর ভক্তরা, হাজার বছরের সেই পুরোনো দেহ বসা অবস্থায় আছে মন্দিরে, যেটা নাকি সবাই দর্শন করতে পারে।