সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দে’শে নতুন আ’ত’ঙ্কে’র না’ম নিপা ভা’ই’রা’স, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

একদিকে করোনাভাইরাস এর মতো একটি মহামারী গোটা বিশ্বকে তার কবলে গ্রাস করেছে, তারই মধ্যে নতুন একটি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানান যে, প্রায় ১০ রকম ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। সেই ১০ টি মারাত্মক ভাইরাস এর মধ্যে একটি হলো নিপা ভাইরাস। সম্প্রতি আইসিএমআর এর “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির” তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা একটি গবেষণা চালিয়ে ছিল এবং মহারাষ্ট্রেয় বালেশ্বরের একটি গুহায় পেয়েছেন নিপা ভাইরাসের সন্ধান।

এই গুহায় থাকা বাদুরের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। জানা গেছে যে, এই প্রথম মহারাষ্ট্রে নিপা ভাইরাস এর নমুনা পাওয়া যায়। এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে মহাবালেশ্বর এর সাঁতারায়। এই ব্যাপারটি প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণাপত্রে। এই গবেষণার প্রধান গবেষক ডঃ প্রজ্ঞা যাদব, তিনি জানিয়েছেন, এই প্রথম কোনো বাদুড়ের শরীর থেকে নিপা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে কখনোই মহারাষ্ট্রে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন বাদুরের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে “জার্নাল অফ ইনফেকশন এন্ড পাবলিক হেলথ” নামক একটি জার্নালে। এই জার্নালটিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই ঘটনার আগেও নিপার সংক্রমণ ভারতে দেখা গেছে। মহারাষ্ট্রের বালেশ্বরের একটি গুহা থেকে দুটো প্রজাতির বাদুড় ধরেছিলেন গবেষকরা ২০২০ সালে। সেই বাদুড়গুলির লালা রস সংগ্রহ করেছিল গবেষকরা। সেই প্রজাতির বাদুড় গুলির মধ্যে নিপা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ওই অঞ্চলের ওই প্রজাতির অনেক বাদুড় ধরা হয়, এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, কিন্তু সেই সমস্ত বাদুড়ের শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যার জন্য গবেষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করেছেন।

শিলিগুড়িতে প্রথম নিপা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছিল ২০০১ সালে। এরপর এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছিল নদীয়া জেলাতে ২০০৭ সালে। পরে ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে যে সমস্ত এলাকা, এই সমস্ত এলাকার কিছু কিছু জায়গায় বাদুড়ের শরীরে পাওয়া গেছিল নিপা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি।

এরপর ২০১৮ সালে নিপা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায় কেরলের কোঝিকোড়ে। গবেষকদের মতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যে, সমস্ত দেশ গুলি রয়েছে তাদের মধ্যে ভারতে নিপা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।