গত 26 শে জানুয়ারি জিন্না টাওয়ারে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়া হয়নি। অন্ধ্রপ্রদেশের মাঝখানে অবস্থিত এই মিনারকে কেন্দ্র করে বিতর্কের এমনিতে কিছু শেষ নেই। 1945 সাল থেকে শান্তি এবং সম্প্রতির প্রতীক হিসেবে 6 পিলার বিশিষ্ট গম্বুজাকৃতির এই টাওয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে টাওয়ারের নামকরণ এবং তার সঙ্গে সবুজ রংকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক চলছে বহুদিন ধরে।
অন্ধপ্রদেশে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সমু বিরাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই টাওয়ারের নাম বদল করার দাবি তুলেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ বা চারণ কবিদের নামে এই টাওয়ারের নামকরণ করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। 26 শে জানুয়ারি হিন্দুত্ববাদীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেছিলেন এই টাওয়ারে। কিন্তু তাতে সফল হননি।
Andhra Pradesh | Hindu Vahini activists tried to unfurl the national flag on Jinnah Tower in Guntur today
"Police have taken 15-20 activists into custody and shifted them to a local police station. They will be released later today," said Guntur Urban SP Arif Hafeez pic.twitter.com/HCC98PtgGU
— ANI (@ANI) January 26, 2022
হিন্দুত্ববাদীদের প্রচেষ্টায় বিপরীতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে হিন্দু বাহিনীর সদস্যরা রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন। কিন্তু তারপরেও সবুজ রঙের পরিবর্তে গেরুয়া সাদা সবুজ অর্থাৎ ভারতীয় তিরঙ্গা পতাকার রঙে টাওয়ার সাজানোর দাবি তুলতে থাকেন তারা। অবশেষে তাদের দাবি সম্পূর্ণ হলো।
হিন্দুত্ববাদীদের জয় হলো শেষ-মেষ। জিন্না টাওয়ার গেরুয়া, সাদা, সবুজ রঙে সাজিয়ে তোলা হলো। টাওয়ারের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ঝান্ডা বসানো হয়েছে। গুন্টুর পূর্বের বিধায়ক মুহাম্মদ মুস্তফা জানিয়েছেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবি মেনে এই রং পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য এর সামনে একটি ধ্বজা বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন স্বাধীনতার সময় বহু মুসলিম ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়েছেন।
স্বাধীনতার পর অনেকেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। কেউ কেউ ভারতীয় হিসেবে ভারতবর্ষে থেকেছেন। কারণ তারা ভারতবর্ষকে মাতৃভূমি হিসেবে ভালোবাসেন। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী মহল এই ঘটনাকে মুসলমান এবং পাকিস্তানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন।