সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইন্টারনেটে রো’গ সংক্রান্ত ত’থ্যা’দি সা’র্চ একদম করবেন না! কা’র’ণ জানালেন বিশেষজ্ঞরা

বর্তমান দিনে ইন্টারনেট মানুষের এক অন্যতম কাছের বন্ধু। এমন বন্ধু যার কাছে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করলে সরাসরি উত্তর মেলে। ইন্টারনেট থেকে নানান ধরনের তথ্য একই জায়গায় বসেই পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেটের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় রোগ, রোগের উপসর্গ ও সমস্যা সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করেন আজকালকার মানুষ। এমনকি সেই সাথে সাথে রোগের প্রতিরোধ, চিকিত্‍সা সংক্রান্ত তথ্য জানা যায় এই ইন্টারনেটকেই কাজে লাগিয়ে। উপকার যেমন আছে, জিনিসের অপকারও তেমন থাকবে। যেমন অনেক ক্ষেত্রেই রোগ সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজখবরের চেষ্টা মানুষকে আরও ‘অসুস্থ’ করে দিতে পারে। এ বিষয়ে ড, আবরার মুলতানি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের প্রতি আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি যে ছোটোখাটো যেকোনো বিষয়ে জানতে আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিই। কিন্তু সবার আগে যাচাই করে দেখতে হবে ওই সমস্ত তথ্য আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কিনা । কারণ, ইন্টারনেটে সব তথ্যই যে ঠিক তা কিন্তু মোটেই নয়। অনেক সময় একেবারে অসম্পূর্ণ তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যই অসুস্থ রোগীর স্বাস্থ্যের উপর আরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এমন ই উপদেশ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবরার মুলতানি। করোনার অতিমারী পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস আদৌ কি -সেই সম্পর্কিত তথ্য জানতে মানুষ জন্য ইন্টারনেটের উপরই প্রচুর মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।

মাথা ব্যাথা সংক্রান্ত বিষয়ে যখন ইন্টারনেটে সার্চ করা হয়, তখন ইন্টারনেটে ব্রেন টিউমার বা ফ্যাটিগ সংক্রান্ত বিষয়েও সবকিছু তথ্য উঠে আসে। সেজন্য, এই সব তথ্যের মধ্যে ব্রেন টিউমারকেই অগ্রাধিকার দিয়ে বসতে পারেন অনেকেই। আর ব্রেন টিউমারের আশঙ্কায় এভাবে বেড়ে যেতে পারে উদ্বেগবোধ, উড়ে যেতে পারে রাতের ঘুম। আর এই জাতীয় বিষয় একেবারে সাধারণ সমস্যাগুলোকে জটিল করে তুলতে পারে। মেডিক্যাল সায়েন্সে এই রোগটিকে বলা হয় সাইবারকোন্ড্রিয়া অর্থাৎ স্বাস্থ্য সম্পর্কে অস্বাভাবিক উদ্বেগ।

সেক্ষেত্রে সামান্য কাশি ও গায়ে ব্যথা হলেও গুরুতর অসুখে আক্রান্ত বলে অনেকে মনে করতে থাকেন। রোগী বারবার ডাক্তারের পরামর্শ নেন এবং প্রায় জোর করেই অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করেন। যেমন সামান্য গ্যাসের কারণে বুকে ব্যাথা হলে হার্ট অ্যাটাক মনে করে ইসিজি, ইকো-র মতো পরীক্ষা করানোর জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। অবশ্য সবসময় যে এ ধরণের উদ্বেগ ইন্টারনেটের কারণে হয় তা নয়, অনেকসময় আশেপাশের লোকজনের নানান কথাবার্তায় মানুষের সুস্থ শরীর ব্যস্ত হতে পারে। তাঁদের কাছে এ ধরনের অনেক মানুষ আসেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সক আবরার মুলতানি।

রোগ যেমন আছে, তার প্রতিকারও তেমন আছে। চিকিত্‍সক মুলতানির পরামর্শ অনুযায়ী, কোনো মানুষ যদি সাইবারকোন্ড্রিয়া নামক রোগে ভোগেন, তাহলে এর থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক থেকে দূরে রাখতে হবে। শরীর অসুস্থ হলে প্রয়োজনে চিকিত্‍সকের কাছে যেতে হবে, তাঁর পরামর্শ নিতে হবে। চিকিত্‍সকের ওপর ভরসা রাখতে হবে এবং তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করা ঠিক হবে না। সর্বোপরি খেয়াল রাখতে হবে যে, ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্ত নয়।