সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আরব দেশে বি’রা’ট হিন্দু মন্দির, দশেরাতে উদ্বোধন হ’লো ধু’ম’ধা’ম করে

আজকাল যেদিকেই তাকানো হয় সেদিকেই রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি সাথে ধর্মীয় অসন্তোষ। এই ধর্মের মানুষ ওই ধর্মের মানুষের ওপর অভিযোগ করছেন এসব চলেই যাচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে আরবের মত দেশে নাকি এক বৃহত্তম হিন্দুদের মন্দির নির্মাণ হয়েছে। আর সেটা উন্মুক্ত হলো দশেরার দিন। বুধবার দোশেরার দিন খুলে দেওয়া হলো এই মন্দিরের দরজা। আরব মূলত একটি মুসলিমী দেশ। সেখানের অনেক কঠিন নিয়ম।

আর সেই দেশের মতো জায়গায় হিন্দুদের মন্দির তাও এত বড়ো সকলকে হতবাক করে দিয়েছে। বলা হচ্ছে বুর্জ খলিফার দেশে এই মন্দির আরো একটি উল্লখযোগ্য নিদর্শন হতে চলেছে। আরবের আমিরশাহীর হিন্দু বাসিন্দারা জানান যে, ‘ এই মন্দিরের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চান তাঁরা। শুধু তারা নয় ওখানের সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের একই বক্তব্য শোনা যায়।

আসলে আমীরশাহিতে এরকম অনেক পুরনো বড়ো বড় মন্দির আছে। জানা যায়, দুবাইয়ের জেবেল আলি গ্রামে রয়েছে এই মন্দিরটি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মন্দিরটি সিন্ধু গুরু দরবার মন্দিরেরই সম্প্রসারণ। জানা যাচ্ছে এই বিরাট মন্দিরটিতে মোট ১৬ জন দেবতার মূর্তি রয়েছে। ২০২০-র মে মাসে মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল। এই মন্দির উদ্বোধনের ফলে এলাকায় হিন্দুদের দীর্ঘদিনের উপাসনালয়ের অভাব পূরণ হল।

আরো পড়ুন: হড়পা বা’নে মৃ’ত’দে’র ফ্যামিলিকে ২ লক্ষ টা’কা’র ক্ষ’তি’পূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রায় ৭০ হাজার বর্গফুটের মন্দিরে সকল ধর্মের মানুষকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা সেখানে ছিলেন। ওখানে উপস্থিত ছিলেন, আমিরশাহির সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল নাহিয়ান এবং দুবাইয়ে স্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুধী।

এই মন্দিরটিকে সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন সঞ্জয় সুধীর। এছাড়াও এই মন্দির নির্মাণে দুবাই প্রশাসন যথেষ্ট করেছে, তার জন্য ভারতীয়দের তরফে ধন্যবাদ জানান তিনি। শুধু তাই নয় এই এলাকাকে ‘অর্চনা গ্রাম’ বলে অভিহিত করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকার।

কারণ এখানে আগেই সাতটি চার্চ, একটি জৈন মন্দির ও একটি শিখ গুরুদ্বার ছিল এবার হিন্দুদের জন্যে তৈরি হল এই হিন্দু মন্দির। সম্পূর্ণ তীর্থস্থল হয়ে উঠল দুবাইয়ের জেবেল আলি। যা গোটা দেশে ভীষন প্রশংসা পেয়েছে। এমন সম্প্রতি তো সকল দেশে থাকা উচিত তবেই প্রতিটা দেশ মিলে মিশে থাকতে পারবে। এমন বার্তাও দেন অনেকেই।