সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হড়পা বা’নে মৃ’ত’দে’র ফ্যামিলিকে ২ লক্ষ টা’কা’র ক্ষ’তি’পূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা সবে মাত্রই শেষ হয়েছে। এই ৫ টা দিন গোটা রাজ্য একটা অন্য রকমের আনন্দেই মেতে ছিল। গতকাল ছিল দশমী। মার ফেরার পালা। একে একে তাই প্রতিটা মন্ডপেই প্রতিমা বিসর্জনের তাড়া ছিল। ঠিক তেমনই জলপাইগুড়ির মাল নদীতে চলছিলো একের পর এক বিসর্জন। কিন্তু মা দুর্গার বিসর্জনের সময় আরো কিছু সাধারণ মানুষের বিসর্জন হতে চলেছে কে জানত। হটাৎ করেই হরপা বান আসে মাল নদীতে।

ভেসে যায় বেশ কিছু মানুষ যারা ঠাকুর ভাসান করতে নদীতে নেমেছিলেন। এরকম অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনার জন্য একেবারেই তৈরি ছিলেন না কেউই। এই ঘটনা যেমন অপ্রত্যাশিত তেমনই মর্মাহত। জানা যাচ্ছে উদ্ধার কার্য এখনও চলছে। আর এই প্রসঙ্গে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হড়পা বানে মৃতদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করে টুইট করে লেখেন, ‘দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন চলাকালীন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে একটি মর্মান্তিক হড়পা বান আসে।

ঘটনায় ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আমি মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং প্রার্থনা করি যাতে তাঁদের পরিবার এই কঠিন সময়ে শক্তি এবং সান্ত্বনা পায়। এই হড়পা বানে আহত ১৩ জন মাল এসএসএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি তাদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছি।’ তিনি মৃতদের পরিবারের মানুষদের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে মৃতদের নিকটাত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন: বাড়িতে বাবা-মায়ের মূ’র্তি বা’নি’য়ে পুজো করেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী

তিনি বলেন, ” এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় যুবকদের প্রচেষ্টায় প্রায় ৭০ জনকে রক্ষা করা হয়েছে। আমি তাদের নিঃস্বার্থ সেবার প্রশংসা করি। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজদের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।’

এছাড়াও যেকোনো সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করুন- ০৩৫৬১২৩০৭৮০ বা ৯০৭৩৯৩৬৮১৫ এই নম্বর দুটি দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু তিনি নন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছে। টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘দুর্গাপুজোর উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত।

যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনেদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’ এছাড়াও বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এত মজা এত আনন্দর মধ্যে এরকম একটা ঘটনা সকলের মনেই প্রভাব ফেলেছে। সকলেই এই ঘটনায় মৃত ব্যাক্তিদের বাড়ির লোকের জন্য মর্মাহত।