সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাড়িতে বাবা-মায়ের মূ’র্তি বা’নি’য়ে পুজো করেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী

আজকালকার ব্যস্ত শহরে যেখানে সকলে জীবনে প্রতিষ্টিত হওয়ার জন্যে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ তো নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন সেখানে একেবারেই অন্য নিদর্শন দেখা গেলো। জানা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ বাবু বাড়িতে বাবা-মায়ের স্মৃতিতে একটি মন্দির তৈরি করেছেন। এখন একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় অনেক ধনী মানুষই বড়ো বড়ো মন্দির করছেন তার আরাধ্য দেবতার।

সেই মন্দিরে কত লোকের সমাগম প্রতিদিন। কিন্তু এমনও হয়? নিজের বাবা মার মূর্তি বানিয়ে মন্দির বানিয়ে তাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে সত্যিই দেখা যায়না। সূত্র মারফত জানা যায় যে, এই রমেশবাবু ভদ্রলোকটি একজন প্রাক্তন এস্ আই ও অফিসার। দীর্ঘদিন কাজের জন্য তাঁর বহুদিনের ইচ্ছেকে পূর্ণতা দিতে পারেন নি। তিনি বরাবরই চেয়েছিলেন তাঁর মা বাবার মন্দির তৈরি করবেন। কিন্তু কাজের চাপে করে উঠতে পারেন নি।

তাই কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পরেই তিনি আর সময় নষ্ট করেনি। তাঁর মা – বাবার মূর্তি বানিয়ে মন্দির বানিয়ে ফেলেন। কিন্তু তাঁর বাবা মা সেই মন্দির হওয়ার পর আর বেশিদিন বাঁচেনি। তবে তাঁর মতে, তাঁর বাবা-মা আজ এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু এই মন্দিরের কারণে, তিনি তাঁর বাবা-মাকে সবসময় কাছে অনুভব করেন। শুধু তাই নয়, রমেশ প্রতিদিন তাঁদের মূর্তিতে পুজোও করেন।

আরো পড়ুন: এই পশ্চিমবঙ্গেই এক রেলস্টেশন কোনো বি’খ্যা’ত মহিলার না’মে, গ’র্ব হবে আপনার

আর তাঁর এই কীর্তিতে তাঁকে কলিযুগের শ্রবণ কুমার বলেও অনেকেই আখ্যায়িত করেছেন। শ্রবণ কুমার যেমন তাঁর অশক্ত বাবা মাকে কাঁধের বাঁকে বসিয়ে তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছিলেন। তারপরেই গভীর জঙ্গলে রাজা দশরথের ছোঁড়া তীরে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের প্রতি শ্রবণের এই আত্মত্যাগ গেঁথে রয়েছে সবার মনে।


তেমনই এই রমেশ বাবুর তাঁর পিতা মাতার প্রতি ভক্তি মানুষকে অবাক করেছেন। তবে এর আগেও মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায়, একজন ব্যক্তি তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর স্মৃতিতে সিলিকনের একটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন জানা যায়। কিন্তু এই রমেশ বাবু তো তাঁর বাবা-মায়ের জন্য একটা গোটা মন্দিরই বানিয়ে ফেলেছেন।