সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তা’লি’বা’ন মেরেছিলো বাবাকে, ভ’য়ে দেশ ছেড়েছিলেন মহিলা ফুটবলার, এখন ডাক্তার হয়ে মানুষের সে’বা করছেন

আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন চলছে। তালিবানরা শাসনভার ফিরে পেয়েই সে দেশের মহিলাদের উপরে নানা রকমের বিধি-নিষেধ জারি করতে শুরু করেছে। এর আগে 1996 থেকে 2001 সালের মধ্যে যখন আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কাল চলছিল তখন এই দেশ ছেড়ে ডেনমার্কে চলে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের একটি মেয়ে। পরে তিনি ডেনমার্কের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলেছেন। নাম তার নাদিয়া নাদিম।

এই মেয়ে বর্তমানে ডাক্তার হয়েছেন। আফগানিস্থানে তার জন্ম। সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন আফগান ন্যাশনাল আর্মির জেনারেল। 2000 সালে তালিবানদের হাতে তার বাবা নিহত হন। তখন নাদিয়ার বয়স ছিল মাত্র 11 বছর।

নাদিয়াকে তখন দেশ ছাড়তে হয়েছিল। মিথ্যে পরিচয় নিয়ে তাকে শরণার্থী শিবিরে থাকতে হয়। প্রথমে তিনি পৌঁছেছিলেন পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানে দুই মাস থাকার পর তিনি চলে যান ইতালিতে। তিনি সেখানে বেশ কয়েক দিন ছিলেন।

এরপর ডেনমার্কের একটি গ্রামের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন তিনি। সেখানে রেকন রাতের প্রহরী তাকে দুধ, টোস্ট এবং কলা খেতে দেন। সেই মুহূর্তটিকে জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেন তিনি। এই শিবিরে থাকাকালীন নাদিয়া কিছু মেয়েদের ফুটবল খেলতে দেখেছিলেন।

তিনি সাহস করে দলের কোচের কাছে পৌঁছান এবং তাকে খেলতে দিতে অনুরোধ করেন। বি ফিফটি 2 এবং আলবর্গ দলের হয়ে ফুটবল খেলে তার কেরিয়ার শুরু হয়। এ সময় তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। আজ তিনি একজন সার্জন। সম্প্রতি টুইট বার্তায় তিনি তার জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন।