সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ক’রো’না থেকে বাঁ’চা’তে হ’বে শিশুদের, গাইডলাইন প্র’কা’শ ক’র’লো আয়ুশ মন্ত্রক

করোনার প্রথম ঢেউ আসার পরেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে আমরা এখনো ভাবে আতঙ্কিত তৃতীয় ঢেউয়ের সময় এই বর্তমানে বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকরা সকলেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা। এখনো পর্যন্ত করোনার জন্য যে, ভ্যাকসিন আনা হয়েছে সেটা শুধুমাত্র ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। এরইমধ্যে বাচ্চাদের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে পারে এই রকম শোনার পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক, কারণ শিশুদের ওপর এখনো পর্যন্ত কোনো রকম ট্রায়াল’ শুরু করা হয়নি ভ্যাকসিন এর মাধ্যমে।

এইরকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক থেকে শিশুদের সুরক্ষিত করার জন্য কিছু গাইডলাইনের কথা বলেছেন। বলা হয়েছে যে, করোনা সংক্রমনের কারণে যে, জটিল রোগ হতে পারে সেই ভয়টা শিশুদের ক্ষেত্রে নেই। শুধু মাক্স পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই শিশুদের সংক্রমণের থেকে দূরে রাখা সম্ভব। এন্টিভাইরাল ওষুধ যেন খাওয়ানো না হয় বাচ্চাদের । যে সমস্ত শিশুদের টাইপের ডাইবেটিস অথবা কোনো রকম ফুসফুস জনিত অসুখ রয়েছে তাদের অবশ্যই সাবধানে রাখতে হবে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে সেটাই জানানো হয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি যে, তৃতীয় ঢেউতে বেশিরভাগই আক্রান্ত হবে শিশুরাই।

তথ্য না পাওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লির এই প্রধান রনদীপ গুলেরিয়া বলেছেন যে, বিশ্বের কোথাও বিজ্ঞানীরা এইটা প্রমাণ করতে পারেননি যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি, বরঞ্চ তারা বলেছেন যে, করোনার সংক্রমণ বাচ্চাদের শরীরে বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। কোন কোন বাচ্চাদের হয়েও থাকে তাহলে সেটা একটি জ্বর বা সর্দি কাশি এরকমই সিমটম গুলো দেখা যাবে। এই সময় কোন বাচ্চার নিউমোনিয়া হয় তাহলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেটিও তাড়াতাড়ি সম্ভব সারিয়ে তোলা। পাঁচ বছরের নিচে যে সমস্ত বাচ্চারা রয়েছে তাদের মাক্স পরা বাধ্যতামূলক নয়, তবে পাঁচ বছরের পর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত যে সমস্ত বয়স্কের বাচ্চারা রয়েছে তাদের অবশ্যই মাক্স পরতে হবে।

যদি পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের মাক্স পরানো হয় তবে অবশ্যই তাদের যেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরানো হয়। যে সমস্ত শিশুদের জটিল রোগ জন্য জন্ম অথবা জন্মের পর থেকেই তৈরি হয়েছে তাদের অবশ্যই আরো বেশি করে খেয়াল রাখা দরকার। বাবা-মা দের উচিত এই সময় বাচ্চাদের যেন তারা বেশিরভাগ ঘরের মধ্যেই রাখে এবং যে সমস্ত যানবাহনে অনেক লোক নিয়ে চলা হয় সেখানে যেন কোনভাবে বাচ্চাদের না নেওয়া হয়। এই বয়সী বাচ্চাদেরক্ষেত্রে নন মেডিকেলের যে তিন স্তরের মাক্স গুলো রয়েছে, সেগুলো যেন পরানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটি জ্বর এবং সর্দি কাশির মধ্যেই আটকে থাকবে, কিন্তু কোন সময় যদি তাদের অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৫ শতাংশের নিচে হয়, তাহলে অবশ্যই সেই সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করতে হবে।

যে সমস্ত শিশুদের শুধুমাত্র অল্প উপসর্গ থাকবে তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ দেওয়া যাবে না, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ দিতে হবে, জ্বর এলে অবশ্যই তাদের প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। যেসমস্ত বাচ্চারা দু বছরের বেশি বয়স তাদের অবশ্যই দুবার করে ব্রাশ করতে হবে এবং অবশ্যই উষ্ণ গরম জল দিয়ে যেন গারগল করানো হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে ভালো থাকে সেই জন্য অবশ্যই প্রাণায়ম বা হালকা ধরনের যোগ ব্যায়াম করা যেতে পারে। সব সময় বাড়ির বড়দের খেয়াল রাখতে হবে যে, বাচ্চারা যেন খাওয়া-দাওয়া কিংবা মুখে হাত দেয়ার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নেয় এবং সামাজিক দূরত্ব যাতে তারা মেনে চলে। এবং নজর রাখতে হবে যে তাদের খাবারে যেন অবশ্যই পুষ্টিযুক্ত খাবার থাকে।