কৃত্তিম ভাবে যে জিনিস বানানো হয়ে থাকে সে জিনিস আগাগোড়াই পৃথিবীর জন্য যেমন ক্ষতিকারক তেমনি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া যেকোনো জিনিসই প্রকৃতির জন্য শ্রেষ্ঠ।
তাই সবসময় বিশেষজ্ঞরা চেয়েছেন কৃত্রিমভাবে তৈরি করা শক্তির থেকে যদি সূর্য থেকে নির্গত শক্তিকে ব্যবহার করে সেটি মানব সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করা হয় তবে সেটা থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না।
আইটিআই বোম্বেতে অধ্যাপনার কাজ করেন চেতন, তিনি ইতিমধ্যেই গোটা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সৌর মানব হিসেবে। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে তিনি সোলার বাস ব্যবহার করেন সেই সোলার বাস ব্যবহার করে তিনি ৫০০ দিন ধরে যাত্রা করে পৌঁছেছিলেন পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরো পড়ুন: নোংরা রাজনীতির শি’কা’র! বি’স্ফো’র’ক মন্তব্য অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জ’য়ী বক্সার লভলিনার
বর্তমানে তাঁর ঠিকানা এখন কলকাতাতেই। চেতন সিং সোলাঙ্কির এই এনার্জি স্বরাজ এর কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। দেশের মানুষকে কিভাবে তিনি বোঝাবেন যে সোলার সিস্টেম পৃথিবীর জন্য কতটা ভালো সেই কারণেই তিনি একাধিক জায়গাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তিনি প্রত্যেকটা মানুষকে বোঝাতে চাইছেন যে কিভাবে প্রত্যেকদিন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। এর ফলে পৃথিবীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ছে। আগামী দিনের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের জন্য আমরাই দায়ী।
পৃথিবী কে কি করে বাঁচানো যায় ? পৃথিবীর শস্য শ্যামলাকে কিভাবে আজীবন রক্ষা করা যায়? তারই উপায় হিসেবে একটি বক্তব্য রেখেছেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে।
তিনি জানিয়েছেন, সব সময় আমাদের চেষ্টা করতে হবে সমস্ত প্রকার শক্তির যেন অপচয় কম করা হয়, কারণ কোন শক্তি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার করা যায় তার নেগেটিভ রূপও আমাদের প্রকৃতির উপরেই পড়বে।
কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। যেন পৃথিবী জ্বরে ভুগছে এবং পৃথিবীর এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। তবে এখন প্রশ্ন কি করে পৃথিবীর রোগকে সরানো যাবে? এর উপায়ও জানিয়ে দিয়েছেন এই অধ্যাপক। তার মতে, আমাদের কাছে এই ইকোসিস্টেমে বস্তু যোগান অত্যন্ত কম সেইজন্যে ব্যবহারও কম করতে হবে ।
এককথায় বলা যায় এভোয়েড, মিনিমাইজ এবং জেনারেট। আমাদের চেষ্টা করতে হবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং ১০০% যাতে আমরা সৌরশক্তি ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক জানিয়েছেন, তিনি জামা-কাপড় কাঁচার পর কখনোই ইস্ত্রি করেন না, কারণ তাতে বৈদ্যুতিক শক্তির অপচয় ঘটবে। সৌর শক্তির উপর নির্ভর করে চলা একটি বাসের মাধ্যমেই তিনি দেশের এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই বাসের মধ্যে রয়েছে রান্নাঘর, অফিস, বেডরুম, বাথরুম সমস্ত কিছুই।
বাসটিতে রয়েছে ৩.২ কিলো ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্যানেল। এমনকি এ বাসে ব্যবহৃত আলো সমস্তকিছুই সৌরশক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়। তাঁর মতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বাসটি হলো তাঁর বাসস্থান।