দুর্নীতি রুখতে এবার থেকে বায়োমেট্রিক এর পথ বেছে নিল কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজে একের পর এক দুর্নীতির খবর শোনা যাচ্ছে, কোনো ভাবেই কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।
তাই এবার কাজে অংশগ্রহণ করা কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারি আপে বায়োমেট্রিক উপস্থিতিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নিয়ে গত সোমবার চিঠি দিয়ে নির্দেশকে কার্যকর করার কথা বলেছে।
ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ অনুযায়ী বিডিও অফিস গুলোতে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ন্যাশনাল মোবাইল মনিটারিং সিস্টেম আপের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। মোট কথা আর এখন খাতায় লিখে হাজিরা গণ্য করা হবে না।
আরো পড়ুন: লবণ খেলে না’কি ওজন কমে! ঠিক কতটা নুন আপনার জন্য ভা’লো?
এদিকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ঠিক এরপরেই কেন্দ্রের ত্রফ থেকে এমন সিদ্ধান্ত দারুণ তাতপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অনেকে। তবে এই চিঠি আদান প্রদান কিন্তু এখন লেগেই রয়েছে।
১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ এনে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এটা একটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখতে চাইছেন সরকারি আধিকারিকরা।
অনেকেই এটাকে কাকতালীয় বিষয় হিসেবেই ধরে নিচ্ছে। তারা মনে করছে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি একই সময়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ঠিক পরেই এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই কাকতালিয়।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য। ২০২১ সালের ২১ মে থেকেই এই অ্যাপ্লিকেশনের হাজিরা নথিভুক্ত কাজ শুরু হয়েছিল।
সেই সময় থেকেই সরকারি আধিকারিকরা শ্রমিকদের হাজিরা বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেই নেওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে আপত্তি করা হলে প্রক্রিয়াটি আটকে যায়।
কিন্তু এই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে নানা সময়ে নানা জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। তাই এবার চূড়ান্ত ভাবেই বলা হয়েছে যেখানে ২০ বাঁ তাঁর বেশী শ্রমিক ১০০ দিনের কাজের সাথে যুক্ত তাকবে সেখানে বায়োমেট্রিক হাজিরা বাধ্যতা মূলক।