সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই মুহূর্তে ব’ড়ো খবর, আবাস যোজনায় অনুমোদনের সময় বা’ড়ি’য়ে দি’লো কেন্দ্র

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরি না করা হলে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তরফ থেকে এমনটাই শর্ত দেয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় রাজ্যকে অনুমোদন দেওয়ার সময়। কিন্তু এবার উল্টো পুরান হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক তাদের সিদ্ধান্ত বদল করল ফের। আরো একমাস সময় সীমা বাড়ানো হলো কেন্দ্র গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার জন্য।

৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া গেল অবশেষে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তরফের রাজ্যকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছে সম্প্রতি। যদিও বাড়ি তৈরীর অনুমোদন দেওয়ার সময়সীমা শেষ ছিল ৩১ শে ডিসেম্বর সেটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

নবান্নের তরফ থেকে সময় সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানোর পর ৩১শে ডিসেম্বর থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বদল কেন? আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখায়, কেন্দ্রীয় বরাদ্দা পেয়েও বাড়ির অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে।

আরো খবর: ৭.৭৫ শতাংশ সুদ মি’ল’বে মাত্র ১৮ মাসের ফিক্সড ডিপোজিটে, কোন ব্যাংক দি’চ্ছে এই সু’বি’ধা?

এখনো পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের মত রাজ্যগুলিতে লক্ষাধিক অনুমোদন বকেয়া রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরীর অনুমোদন দেওয়া না হলে সেই রাজ্যের কোটা অন্য রাজ্য কে দিয়ে দেওয়া হবে। তাই এই সময় সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবী করেছেন নবান্নের আধিকারিকদের একাংশ।

তবে এই সময় সীমার মধ্যে রাজ্যের বরাদ্দ হওয়া ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে না হলে টাকা চলে যাবে অন্য রাজ্যের কাছে। রাতদিন এক করে রাজ্য তাই অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করছে।

তবে অনুমোদনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় তরফ থেকে এখনো রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করেনি যা নিয়ে এখন অদরি টানাটানি চলছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে।

আপাতত গ্রামীন আবাস যোজনায় অধীনে বাড়ি তৈরীর অনুমোদনের কাজ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না আসায় বাড়ি তৈরির কাজ কার্যত থমকে রয়েছে।। উল্টে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে একাধিক প্রশ্ন মেলার উত্তর চাওয়া হয়েছে, বিশেষ করে আগের টাকা হিসেব জানতে চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।

আগের সমস্ত হিসেব দিলে তবেই পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া হবে রাজ্যকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে করা আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আবাস যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনও করে এসেছেন, যা নিয়ে ভালোমতোই চাপে রয়েছে রাজ্য।