তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আবার আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বর্তমানে তাইওয়ান নিয়ে চীন এবং আমেরিকার মধ্যে ক্রমশ চাপানোতোর বাড়ছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চীনকে অপমান করলে শাস্তি পেতেই হবে।
এদিকে তাইওয়ান নিজেদের বরাবর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। তারা চীনের বশ্যতা স্বীকার করতে রাজি নয়। যদিও চীন এই দ্বীপ রাষ্ট্রকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে। অতীতে বহুবার তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
যদিও এখনো পর্যন্ত চীনের চাপের কাছে মাথা নত করতে রাজি হয়নি তাইওয়ান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তাইওয়ানকে এত মজবুত মনোবল যোগাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। ইনি হলেন এই দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট।
আরো পড়ুন: রাহুল হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, ভবিষ্যৎবাণী করলেন এই সন্ন্যাসী
তাইওয়ানের মহিলা প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থানে অনড়। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আত্মরক্ষার পথে হাঁটবে তাইওয়ান, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তার বাবা ছিলেন পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
তিনি ন্যাশনাল তাইওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হয়েছেন। ১৯৮০ সালের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে তিনি 1984 সালের লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস এন্ড পলিটিকাল সায়েন্স থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী পেয়েছেন।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৬ সালে তিনি তাইওয়ানের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তিনি তাইওয়ানে সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেন। চীনের ক্রমাগত চাপের মুখে পড়েও তিনি কড়া অবস্থান নিয়েছেন। বরাবর তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের স্বপক্ষে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
