সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শহীদ জওয়ানের এহেন বি’দা’য় কোথাও দেখা যায়নি! পুষ্পবৃষ্টি হলো ১০ কিমি, পরিবারের সকলেই গর্ব করছেন

এক সপ্তাহ আগে অরুণাচল প্রদেশের বরফের ধসের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যান 21 বছরের অঙ্কেশ ভরদ্বাজ এবং তার 6 জন সঙ্গী জওয়ান। অবশেষে উদ্ধার করা হয় তাদের দেহ। রবিবার হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর জেলার সেউ গ্রামে অঙ্কেশের নিথর দেহ পৌঁছে দেওয়া হয়। গ্রামের বীর ছেলের শেষকৃত্যে অভিনব বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। চোখের জলে নয় বরং গর্বভরে তাকে শেষ বিদায় জানান গ্রামবাসীরা।

দীর্ঘ 10 কিলোমিটার পথ জুড়ে পুষ্পবৃষ্টি করা হয় তার জন্য। তার দেহ যখন গ্রামে এসে পৌঁছায় তখন আতসবাজির রোশনাই দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়। এলাকার প্রতিটি রাস্তায় এবং বাড়ির ছাদে এসে উপস্থিত হন মানুষেরা। সবাই তাকে শেষবারের জন্য একবার দেখতে চেয়েছিলেন।

প্রায় 15 হাজার মানুষ অঙ্কেশের শেষ যাত্রায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তেরঙ্গা পতাকা হাতে নিয়ে উপস্থিত হয় শিশুরা। গ্রামবাসীরা ফুল নিয়ে হাজির হন শ্রদ্ধা জানাতে। তারাঘেল থেকে শহীদ বাড়ি পর্যন্ত পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। খোলা জিপে করে তার শব নিয়ে যাওয়া হয় শেষকৃত্যের উদ্দেশ্যে।

উল্লেখ্য ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম বার খোলা জিপে শহীদের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছেলেকে বরবেশে দেখতে আর কোনদিনও পারবে না তার বাড়ির সদস্যরা। তাই অঙ্কেশকে বরবেশে সাজানো হয়। কোর্ট-প্যান্ট-টাই এবং মাথায় পাগড়ী ‌পরে ছেলের মৃতদেহ নিতে আসেন বাবা।

আরো পড়ুন: ভেজাল সর্ষের তেলে ঝাঁঝ বৃ’দ্ধি করতে এই ফলের বীজ মে’শা’নো হচ্ছে, বি’রা’ট ক্ষ’তি হচ্ছে মানুষের

অঙ্কেশের শেষ যাত্রা যেন ছিল বিবাহ যাত্রা! চোখের জলে ছেলেকে শেষ বিদায় জানালেন বাবা-মা। উল্লেখ্য তার দেহ বাড়িতে পৌঁছানোর আগে তার প্রতি শোক জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। সকাল ন’টার সময় হামিরপুর বিলাসপুর সীমান্তে তারঘেলে তার শবদেহ পৌঁছায়। এ সময় 10 কিলোমিটার জায়গা জুড়ে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।