Home লাইফস্টাইল ভেজাল সর্ষের তেলে ঝাঁঝ বৃ’দ্ধি করতে এই ফলের বীজ মে’শা’নো হচ্ছে, বি’রা’ট...

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভেজাল সর্ষের তেলে ঝাঁঝ বৃ’দ্ধি করতে এই ফলের বীজ মে’শা’নো হচ্ছে, বি’রা’ট ক্ষ’তি হচ্ছে মানুষের

বর্তমানে বেশিরভাগ খাবারেই ভেজাল। আর সেই ভেজাল খাবার খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে উঠছে, মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এসব কারণেই মানুষের এখন খাবার খাওয়ার তুলনায় মেডিসিন বেশি খায়। এই ভেজাল যুক্ত খাবার আমাদের শরীরের নানাবিধ ক্ষতি করছে। তবে হ্যাঁ, খাবারে ভেজাল চেনার উপায় রয়েছে বেশ কয়েকটি। আর অন্যতম ভেজাল হল সর্ষের তেলের ভেজাল।

সর্ষের তেলে শিয়ালকাঁটা:

শিয়ালকাঁটা হল সর্ষের তেলের প্রধান ভেজাল। এটি একটি মারাত্মক বীজ। অনেকটা সর্ষের মতোই শিয়ালকাঁটার বীজ দেখতে হয় এমনকি এই বীজের তেলের সঙ্গেও সর্ষের তেলের অদ্ভুত মিল রয়েছে। তাই অনেক সময় সর্ষের তেলে এরই ভেজাল ব্যবহার করা হয়। ভোজ্যতেলের মধ্যে শিয়ালকাঁটার তেলের ভেজালের মাত্রা যদি ১%-রও বেশি হয় তাহলেই বিষক্রিয়া দেখা যেতে পারে।

তাহলেই ভাবুন! কি মারাত্মক বীজ এটি।ইতিহাস সাক্ষী আছে, ১৯৭৭ সালে কলকাতায় একবার সর্ষের তেল থেকে এরকম বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, ১৯৯৮ সালে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় উত্তর দিল্লি সংলগ্ন এলাকাতেও। তখন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ এই ভেজালের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সাথে ৬৫ জন প্রাণ হারান। এমনকি ২০০০ সালের পরেও গোয়ালিওর, কনৌজ, লখনউ সহ বেশ কিছু জায়গায় এরকম বিষক্রিয়া দেখা দিযেছিল।

আরো পড়ুন: কম টাকার রিচার্জে বিনামূল্যে পাবেন Amazon ও Netfilx, বি’রা’ট অ’ফা’র দিলো Jio

এটি আরও মারাত্মক কারণ খালি চোখে সর্ষের তেলের মধ্যে শিয়ালকাঁটার ভেজাল একেবারেই বোঝা যায় না। দিনের পর দিন এই ভেজাল তেল খেতে খেতে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর এ ধরণের বিষক্রিয়ার লক্ষণ হল শরীরে জল জমে যাওয়া বা ড্রপ্সি। সে কারণেই এই অবস্থার নাম এপিডেমিক ড্রপ্সি।

পা ফোলা, বমি, ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং চোখের গ্লুকোমা রোগ দেখা দিতে পারে এই বিষক্রিয়ায়। চোখের গ্লুকোমা থেকে ভবিষ্যতে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।শিয়ালকাঁটার তেলে দুটি বিষাক্ত উপক্ষার রয়েছে – স্যাঙ্গুইনারিন এবং ডাইহাইড্রোস্যাঙ্গুইনারিন। স্যাঙ্গুইনারিনের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তবাহের দেওয়ালের ছিদ্রগুলি বড় হয়ে রক্তরস বেশি পরিমাণে আন্তঃকোষীয় স্থানে বের হয়ে যায় এবং এটি নিজেই ড্রপ্সির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বি’ষা’ক্ত সাপের ডিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছ’ড়ি’য়ে পড়তেই তোলপাড়! দেখে নিন

যেহেতু সর্ষের মধ্যেকার ভেজাল খালি চোখে বোঝা যায় না তাই ভেজাল চেনার জন্য Food Safety and Standards Authority of India (FSSAI) কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই সেই পরামর্শ মেনে চলতে হবে। সেই পদ্ধতির উল্লেখ নীচে করা হল –

>> প্রথমে কাঁচের উপর খানিকটা সর্ষে রেখে আতস কাঁচ দিয়ে সেই সর্ষের দিকে তাকালে যদি তাতে অমসৃণ কালচে বীজ দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে গোড়ায় গলদ। কারণ সর্ষের দানা সবসময় মসৃণ এবং বাদামি রঙের হয়ে থাকে।

>> সর্ষেদানা দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ভিতর থেকে হলদে বীজ বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু শিয়ালকাঁটা দুই আঙ্গুলে চাপ দিলে ভিতর থেকে সাদা বীজ বেরিয়ে আসে।

>> আর তেলের মধ্যে শিয়ালকাঁটার উপস্থিতি পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষাগারে যেতে হবে। তবে সর্ষেবাটার ক্ষেত্রে আগে থেকে যেহেতু সর্ষের দানা ভিজিয়ে রাখা হয় তাই ভেসে থাকা দানাগুলি ফেলে দেওয়া ভালো।