সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কাস্পিয়ান সাগরে দাঁড়িয়ে অ’দ্ভু’ত আকৃতির বিমান, ন’জ’র কাড়লো সকলের

বিমানের মতো দেখতে হলে কি হবে! এটি একটি সাধারণ বিমানের থেকেও অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি রাশিয়ার নৌ বাহিনীর এয়ারক্র্যাফ্ট। নাম এক্রানোপ্ল্যান। এক্রানোপ্ল্যান একটি রাশিয়ান শব্দ। এর অর্থ হল ‘গ্রাউন্ড এফেক্ট ভেহিকল’। ক্যাসপিয়ান সাগরের তীরে গেলে এই বিশালাকার বিমান দেখতে পাওয়া যায়। তাই এর আর এক নাম ‘ক্যাসপিয়ান সি মনস্টার’।

এক সময় এই বিশাল বিমান ক্যাসপিয়ান সাগরের বুক থেকেই উড়তো। জলে ভেসে থাকা অবস্থাতেও খুব সহজেই উড়তে পারত এটি। নির্জন সমুদ্র তীরে এই দৈত্যাকার এয়ারক্র্যাফ্ট একঝলক দেখলে যে কেউ চমকে উঠবেন।

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং সমুদ্র উপকূলে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকার দরুন এর অনেক অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঐতিহাসিক এই এয়ারক্র্যাফ্টকে রক্ষা করার জন্য সম্প্রতি অভিনব উপায় নেওয়া হয়েছে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন এই এক্রানোপ্ল্যান তৈরি করেছিল ১৯৮৭ সালে। সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য এই শ্রেণির একটিমাত্র ভেহিকল তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু খুব বেশি দিন নৌসেনা এই বিমান ব্যবহার করেনি। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছর সোভিয়েত এবং রাশিয়ার নৌসেনা এই বিমান ব্যবহার করত।

শেষমেষ ১৯৯০ সালে এটি অবসর নেয়। তারপর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্যাসপিয়ানের উপকূলে পরিত্যক্ত হয়েই পড়েছিল এই এক্রানোপ্ল্যান। এই লুন ক্লাস এক্রানোপ্ল্যান দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট। উচ্চতা ৬৫ ফুট এবং ডানা-সমেত প্রস্থ ১৪৪ ফুট।

এর আর এক নাম ‘কাস্পিয়ান সি মনস্টার’। এক সময় কাস্পিয়ান সাগরের বুক থেকেই উড়ত এই ‘দৈত্যাকার’ বিমান। সে কারণেই এমন নামকরণ।

তবে এতো বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের ফলে এবং সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকার ফলে এর অনেকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।সম্প্রতি অভিনব সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঐতিহাসিক এয়ারক্র্যাফ্টটিকে রক্ষা করার জন্য। এটিকে সমুদ্র উপকূল থেকে সরিয়ে নতুন একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। দারবেন্ট শহরের কাছে একটি পার্কে এটিকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও পর্যটকদের জন্য পার্কটিকে এখনও খোলা হয়নি।