ভারতের প্রধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে সই হওয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি মেনেই ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ফরাসি রাফালের এই কৌশলগত ‘স্টপওভার’। ২০১৮ সালের ওই চুক্তি অনুযায়ী, ফরাসি বিমানবাহিনী ভারতীয় বায়ুসেনাঘাঁটিতে এসে রসদ নিতে পারে।
জ্বালানি বা খাদ্য-পানীয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনে মেরামতির কাজও সেরে নিতে পারবে তারা। একই ভাবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানও ফরাসি বিমানবাহিনীর যে কোনও ঘাঁটিতে একই ধরনের সুবিধা পাবে। আর সেই চুক্তি অনুসারেই, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে ভারতে অবতরণ করেছে ফরাসি বায়ুসেনার তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান।
জানা যাচ্ছে, -তাইওয়ান সঙ্ঘাতের আবহে তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুসেনাঘাঁটিতে ফরাসি ‘এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্স’-এর এই যাত্রাবিরতি। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে নানা রকমের জল্পনা। বায়ুসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ফরাসি বাহিনীর এই মহড়ার লক্ষ্য হল, যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাতে ফ্রান্স থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের নিউ ক্যালিডোনিয়া দ্বীপপুঞ্জের ফরাসি সেনাঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান-সহ প্রয়োজনীয় সামরিক উপকরণ ও সেনা মোতায়েন থাকে, বা পাওয়া যায়।
আর সেই জন্যই ফরাসি ‘এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্স’ ১০ অগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘পেগেস-২২’ নামে একটি দূরপাল্পার সামরিক মহড়া শুরু চালাচ্ছে। সেটারই অংশ হিসেবে ১০ এবং ১১ অগস্ট ওই তিনটি রাফাল সুলুর ঘাঁটিতে অবতরণ করেছিল।
২০১৬ সালে আমেরিকার সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করেছিল ভারত। ‘পেগেস-২২’ চলাকালীন ফের ভারতে আসতে পারে ফরাসি বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে সে খবরই জানা যাচ্ছে।