সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পেট্রোল-ডিজেলের উপর এত প’রি’মা’ণ ট্যাক্স! কোথায় লা’গ’ছে এ’তো টা’কা? উত্তর দিলেন নীতিন গড়করি

দিন প্রতিদিন পেট্রোল-ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম কমানোর জন্য ট্যাক্সে ছাড় দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে বিরোধীরা। বারংবার চূড়ান্ত সমালোচনার সম্মুখীন হয়ে এবার পেট্রোল ডিজেলের উপর লাগু থাকা ট্যাক্স কোন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি।

সম্প্রতি লোকসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি জানালেন, দেশের অবকাঠামোগত সুবিধাগুলির উন্নয়নে এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের ট্রাক্স। মোট পরিবহন ব্যয়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব প্রায় ৩৪ শতাংশ বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলধন, বেতন, বীমা, পারমিট ট্যাক্স, রক্ষণাবেক্ষণ, জ্বালানী, টোল ট্যাক্স এবং যানবাহন কেনার জন্যও প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।

বিগত কয়েক মাস ধরে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোল, ডিজেল থেকে শুরু করে গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির বহরে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে টান পড়ার জোগাড়। তার উপর আবার যানবাহন চালনার জন্য পেট্রোল-ডিজেলের দামও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে স্বভাবতই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবিত্তরা।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটার প্রতি বাড়তে বাড়তে ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে। বেশকিছু রাজ্যে টাকার অংকটা ১০০ না পেরোলেও সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে সাধারণের মনে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অবস্থাকে হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। লোকসভাতেও এই একই বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে অবশেষে এই খতিয়ান তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী।