দীপাবলি উপলক্ষে এই রাজ্যে বাজি পোড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জারি করা হয়েছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। প্রথমে জানানো হয়েছিল যে সবুজ বাজির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তারপরেই কার্যত সবুজ বাজি এবং লালবাজি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় হাইকোর্টের অন্দরে। কোনটা গ্রীন এবং কোনটা রেডের আওতায় পড়বে তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। কাজেই আসন্ন দীপাবলিতে সবুজ পটকাসহ সমস্ত ধরনের আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আজ হাইকোর্টের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ এইবার দীপাবলিতে কোনরকম বাজি পোড়ানো যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে। যদিও গ্রীন ক্যাকার্স বাজি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন এক্সপার্টদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে কার্যত প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এই ধরনের বাজি ক্ষতিকারক নয়। তবে সেই দাবি ধোপে টেঁকেনি।
বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রতীক্ষা করছে সারা দেশ। কাজেই মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এবং পরিবেশের কথা চিন্তা করে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে অবশ্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দীপাবলিতে শুধুমাত্র 2 ঘন্টার জন্য সবুজ আতশবাজি পোড়ানো অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে সেই অনুমোদন তুলে নেওয়া হয়।
সবুজ আতশবাজি পোড়ানো যাবে, রাজ্য সরকারের এমন নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই কার্যত অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের সমস্ত বাজি সবুজ বাজি বলে বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। সেই ব্যবসাতে লাগাম টানার উদ্দেশ্যে আদালতের তরফ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
