প্রেমে প্রত্যাখ্যান পেলে কোনো মানুষ যে কতটা হিংস্র হয়ে যেতে পারে তার জলজ্যান্ত প্রমাণই হল আজকের এই প্রতিবেদন। পুলিশ সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে রেললাইনের উপর বছর বাইশের এক যুবক কেশবনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আসলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে সে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুন করেছে।
একাদশ শ্রেণির সেই কিশোরী ওই যুবকের প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল। আর তারই প্রতিশোধ নিতে পর পর ১৪ বার ছুরি চালিয়ে সেই কিশোরীকে খুন করে তামিলনাড়ুর ওই যুবক। অভিযুক্তের খোঁজে নেমে মঙ্গলবার একটি রেললাইনের উপর তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় পুলিশ। কিশোরীকে খুনের পর সে কি আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি তাকে কেউ খুন করেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
১৬ বছরের ওই কিশোরীর বাড়ি ত্রিচির আথিকুলমে। কিশোরীর পরিবারের লোক অভিযোগ করেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে কেশবন। বার বার তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলেও বরাবরই তা নাকচ করে দিয়েছিল মেয়েটি। তা সত্ত্বেও কিশোরীর পিছু ছাড়েনি কেশবন। বছরখানেক আগে কিশোরীকে অপহরণের দায়ে পকসো আইনে জেলও হয় অভিযুক্তের।
আরো পড়ুন: কো’নো রকম কোচিং ছাড়াই UPSC-তে ন’জ’র’কা’ড়া ফল শিলিগুড়ির অভিজিতের
সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে আবারও মেয়েটিকে প্রেম নিবেদন করে সে। আবারও প্রত্যাখ্যাত হলে এ বার কিশোরীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পর পর ১৪ বার এলোপাথাড়ি ছুরি চালিয়ে দেয় কেশবন। কিশোরীর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর তাঁদের বাড়িতে আসার কথা ছিল ছাত্রীটির।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি ওভারব্রিজের কাছের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই কিশোরীর পথ আটকে প্রেম নিবেদন করে কেশবন। তাতে রাজি না হওয়ায় বার বার ছুরি দিয়ে কিশোরীকে আঘাত করতে থাকে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে কিশোরী। এর পর সেখানেই ছুরিটি ফেলে রেখে চম্পট দেয় কেশবন।
ঘটনার তদন্তে তিনটি দল গঠন করে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছিল তামিলনাড়ু পুলিশ। তবে মঙ্গলবার রাতে মানাপ্পারাইয়ের কাছে একটি রেললাইনে তার দেহ পাওয়া যায়। পাশেই পড়েছিল তার মোবাইল ফোনটি। সেই সূত্রেই কেশবনের পরিবার দেহটি সনাক্ত করে।