হিন্দু সভ্যতার প্রসার সুবিশাল। হিন্দু সভ্যতা বহু বছর আগে থেকে অনেক আঘাত সহ্য করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই জায়গায়। সম্প্রতি হিন্দু জাতিদের জন্য এসেছে একটি সুখবর। তেলেঙ্গানার কাকতীয় রুদ্রেশ্বর মন্দির কে UNESCO বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করেছে গত রবিবার। স্বাভাবিকভাবেই এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর সমগ্র হিন্দু জাতি সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের আনন্দ জাহির করেছেন। দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, রামপ্পা মন্দির মহান কাকতীয় বংশের উৎকৃষ্ট শিল্পকলার প্রদর্শন করেছে চিরকাল। আমি সবাইকে এই মন্দিরে যাত্রা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এই গর্ব প্রত্যক্ষ অনুভব করার আহ্বান জানাচ্ছি সকলকে।
জঙ্গলে থাকা এই শিব মন্দির একমাত্র মন্দির যার নাম শিল্পকারের নামে রাখা হয়েছে। কাকতিয় বংশের রাজা এই মন্দিরের নির্মাণ ত্রয়োদশ শতাব্দীতে করেছিলেন। বহু দুর্যোগ এসেছে কিন্তু এই মন্দিরের কোনো ক্ষতি হয়নি কোনদিন। এই মন্দিরটি হাজারটি স্তম্ভের উপর বানানো হয়েছে। মন্দিরটি এমন একটি ধাতু এবং বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা জলের উপর ভেসে থাকতে সক্ষম। এই শিব মন্দিরের ভেতরে এমন কিছু রহস্য রয়েছে যা বিজ্ঞানীরা কোনদিন ভেদ করতে পারেননি।
🔴 BREAKING!
Just inscribed as @UNESCO #WorldHeritage site: Kakatiya Rudreshwara (Ramappa) Temple, Telangana, in #India🇮🇳. Bravo! 👏
ℹ️ https://t.co/X7SWIos7D9 #44WHC pic.twitter.com/cq3ngcsGy9
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳😷 (@UNESCO) July 25, 2021
আলাউদ্দিন খিলজী এই সাম্রাজ্যের উপরে আক্রমণ করে কোহিনুর হীরা চুরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার সেনাবাহিনীকে। এটাই এই মন্দির তৈরি করার একটি বড় ইতিহাস। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রি জী কিষান রেড্ডি বলেছেন, আমি এটা জেনে খুব খুশি যে, UNESCO তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গালের রামপ্পা মন্দিরকে বিশ্ব ঐতিহ্যের শীর্ষে স্থান দিয়েছে। দেশের তরফ থেকে, বিশেষ রুপে তেলেঙ্গানার মানুষের তরফ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শন আর সমর্থনের জন্য ওনাকে ধন্যবাদ জানাই।
লে দিই, রামপ্পা মন্দির ত্রয়োদশ শতাব্দীর নিখুঁত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অন্যন্য নিদর্শন। সরকারের তরফ থেকে ২০১৯ সালে একমাত্র এই মন্দিরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণার করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যেটি অবশেষে সফল মন্ডিত হয়েছে।