সাধারণ মধ্যবিত্ত মা-বাবার স্বপ্ন থাকে তাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবে ধুমধাম করে। বিয়ের সময় না হয় সামান্য ধার দেনা করে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেয় তারা। বিয়ে হল ভারতবর্ষের সব থেকে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে মন প্রাণ খুলে সবাই খরচ করতে চেষ্টা করে। বর কনের পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে আত্মীয়দের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা সাথে প্যান্ডেল ও নানা ধরনের জাঁকজমক । মোটকথা একটা বিয়ের আয়োজন দেখেই বোঝা যায় সেই পরিবারের কতটা ক্ষমতা রয়েছে।
বিয়েকে জাঁকজমক করে তোলার জন্য সর্বোচ্চ কতদূর যে যাওয়া সম্ভব সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। আসলে বড়লোকদের বিয়েতে জাঁকজমক থাকে অন্য ধরনের, যেটাকে এক কথায় গ্র্যান্ড ওয়েডিং বলে ডাকা হয়। কোথাও হয়তো পঞ্চাশ হাজার লোককে আমন্ত্রণ করা হয়, আবার কোথাও হয়ত বিয়েতে খরচ করে ৫০০ কোটি টাকা। আবার কোনো বিয়েতে চিফ গেস্ট হিসেবে আমন্ত্রিত হয় মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব হিলারি ক্লিন্টন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন জাঁকজমকের শেষ নেই। এখানেই শেষ নয়, আবার কোনো বিয়েতে নাকি উপহার দেওয়া হয় হেলিকপ্টার। এবার তাহলে দেশের কয়েকটি জাকজমকপূর্ণ বিয়ের কথা শোনা যাক। কর্নাটকের মন্ত্রী জনার্দন রেড্ডির মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। আর সেই বিয়েই নাকি পুরো ৩০ একর জমির উপর হয়েছিল। বলিউডের ধাঁচে সেখানে সেট তৈরি করা হয়েছিল।
আরো খবর: সারাদিনে কতবার বলেন “OK”? ফুল ফ’র্ম জানেন কি?
সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল ৫০ হাজার অতিথি, তাদের জন্য আবার ৩০০০ নিরাপত্তা রক্ষী। আর সেই বিয়েতেই নাকি আনুমানিক খরচ করা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। এদিকে ২০১৮ সালে ভারতীয় ধন কুবের মুকেশ আম্বানির মেয়ে ইশা আম্বানীর বিয়ে হয়েছিল রাজস্থানের উদয়পুরে, যাকে এক কথায় বলে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং।
সেই বিয়েতেই আন্তর্জাতিক সংগীত জগতের অন্যতম গায়ক বেয়ন্স সঙ্গীত পরিবেশন করেছিল। সেই বিয়েতে চিফ গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিল হিলারি ক্লিনটন, শচীন টেন্ডুলকার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সহ আরও বড় বড় মহারথীরা। উদয়পুর বিমানবন্দরে সেদিন চার্টার্ড ফ্লাইটে ভরে গিয়েছিল।
২০১৮ সালেই প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনসের বিয়ে হয়েছিল। যার জন্য উদয়পুর দুর্গ ভাড়া করা হয়েছিল বিয়ের জন্য, বিয়ের জন্য তারা ১০৫ কোটি টাকা খরচও করেছিল। বিরাট কোহলি অনুষ্কা শর্মার বিয়েতে খরচ হয়েছিল ৯০ কোটি টাকা।
