কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেই আগেই জানানো হয়েছিল, রাজ্য যদি কোনো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে তাহলে কোনোভাবেই আর্থিক সাহায্য করা হবে না রাজ্যগুলোকে। সেই কথা কানেই নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার, আর ঠিক সেই কারণেই বাংলার মাতৃ প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাচ্ছেনা কেন্দ্রের কাছ থেকে।
৮-৯ লক্ষ মা ৯০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার সেই অভিযোগ তুলল বিধানসভায় তৃণমূল। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই অভিযোগ তুললেন।
প্রথমবার কোন মহিলার সন্তান সম্ভবা হলেই তাদের তিন ধাপে বাংলা মাতৃ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার টাকা দেওয়া হত। এই টাকা পাওয়ার জন্য অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আধার কার্ড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস থাকলেই তিন ধাপে পাওয়া যেত ৫০০০ টাকা।
আরো পড়ুন: রাশিয়া থেকে সামরিক স’র’ঞ্জা’ম আমদানিতে না, আগামী ৬ বছরে আত্মনির্ভর হ’বে ভারত
অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নাম নথিভুক্ত করতে হতো, সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ার পর প্রথম কিস্তিতে ১০০০ টাকা দেওয়া হত। তারপর সন্তান জন্মানোর ১৪ সপ্তাহের পর ২০০০ টাকা দেওয়া হত ও সন্তান জন্মানোর ৬ মাস পরে ২০০০ টাকা ফের দেওয়া হত।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস, আধার কার্ড থাকলেই এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া যেত। মোটকথা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সময় মায়ের যাতে কোনোভাবেই পুষ্টির অভাব না হয়। কিন্তু রাজ্য অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় দাবি করেছেন, গত ২ বছর থেকে কেন্দ্র এই প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না।
আরো পড়ুন: বড়ো খবর: রামপুরহাট কা’ণ্ডে CBI তদন্তের নি’র্দে’শ কলকাতা হাইকোর্টের
গুজরাটের প্রকল্প অনুযায়ী কেন্দ্র এই প্রকল্পের নাম করেন প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা। সেটা বাংলায় নাম বদল করে বাংলার মাতৃ প্রকল্প নাম করা হয়। এটাকে কারণ করেই টাকা দিচ্ছেনা কেন্দ্র। ঠিক এই কারণেই বাংলার অর্থমন্ত্রী একেবারে ক্ষোভ উগরে দেয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমরাতো বাংলার মাতৃ প্রকল্প নাম করিনি। কেন বাংলার মায়েদের এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলার শিশুদের ফুসফুস মস্তিষ্কের বিকাশ যাতে না হয় সেই কারণে এই ষড়যন্ত্র কেন্দ্রের।