অর্থ সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ফেরার হয়ে যেতেন নববধূ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি প্রতারক চক্রকে সম্প্রতি ধরেছে পুলিশ। এই চক্রের প্রধান পান্ডা ওই মহিলাও পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে তার মেডিকেল টেস্ট করানোর পর এই কার্যত চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের। কারণ সম্প্রতি জানা গিয়েছে ওই মহিলা এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিয়ে করে আর্থিক প্রতারণার উদ্দেশ্যে এপর্যন্ত প্রায় আট স্বামীর সঙ্গে সংসার পেতেছিলেন তিনি। প্রতি ক্ষেত্রেই ১০-১৫ দিন সংসার করার পর হয় পনের মামলার হুমকি দিয়ে অথবা শ্বশুরবাড়ি সদস্যদের অচেতন করে সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতেন ওই মহিলা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওই মহিলাকে আটক করা হয়। তবে তার শরীরে এইডসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিশ প্রশাসনের।
পুলিশ এখন ওই মহিলার আট স্বামীর সন্ধান করছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে। যতদূর জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আসল স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান। তারপরেই একটি প্রতারক চক্রের সঙ্গে মিশে তিনি এইভাবে বিয়ের নামে প্রতারণা করতে শুরু করেন। তার বাড়ি পাঞ্জাবে। তার বয়স ৩০ বছর। দুই সন্তানের মা তিনি।
শ্বশুরবাড়ির অর্থ সম্পদের ওপর নির্ভর করতো তিনি কতদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন। শ্বশুরবাড়ি ধনী হলে সর্বাধিক ১৫ দিন শ্বশুরবাড়িতে কাটাতেন তিনি। শ্বশুরবাড়ি যদি অপেক্ষাকৃত কম ধনী হয় তাহলে ১০ দিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করে বেরিয়ে আসতেন। তারপর ফের নতুন করে প্রতারণা করতেন অন্য কোনো পরিবারকে।