গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা প্রকট। পাকিস্তানে তার মধ্যে মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার প্রায় শেষের মুখে। নতুন করে আর পাকিস্তানকে ঋণ দিতে চাইছে না ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড। আরো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার কাছে হাত পেতে রয়েছে পাকিস্তান অথচ তারাও তাকে কোনরকম সাহায্য করছে না।
এই অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিনা বেতনে কাজ করবার সিদ্ধান্ত নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজ শরীফ এবং তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ। দেশের অর্থ সংকট মোকাবিলায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে সরকারি কর্মীদের বেতন অর্ধেকের বেশি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের জোট। মন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্যদের বেতন ও ভাতায় কাটছাট করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরো খবর: বয়স বাড়লেও কিছুতেই বি’য়ে হ’চ্ছে না? মহাশিবরাত্রিতে এই নি’য়’ম মানলে পে’য়ে যাবেন জীবনসাথী!
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফসহ তার দলের ১২ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং তিনজন প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন এ কথা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তারা আর বেতন নেবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
যদিও জোট সরকারের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দল আসিফ আলী জারদারি বিলাবল ভুট্টো এই ব্যাপারে কোনরকম সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। বৃহস্পতিবার থেকে পাকিস্তানের প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ২২ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ২৭২ টাকা যা গত ৫০ বছরের রেকর্ড। দিন দিন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি।
মুদ্রাস্ফীতি তো বটেই এমনকি সাধারণ মানুষের ভাতে কোপ পড়ছে বলেও জানা গিয়েছে। চরম অর্থ সংকটে পাকিস্তানের কিছু জনগণ রাস্তায় ভিক্ষা করতে বসে পড়েছেন।
সে দেশে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বহুদিন আগেই। একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
