গত কয়েকমাস থেকেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। সরকারি ভর্তুকি দেওয়া আটা-ময়দা কিনতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হূ হূ করে বাড়ছে পাকিস্তানে। মুরগির মাংসের দাম বেড়ে প্রতি কেজিতে হয়েছে ৭০০-৭৮০ টাকা। ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বোনলেস মাংস।
চাল, ডাল,শাকসবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। দুধের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার পিছু ২১০-২২০ টাকা। নিজেদের পেট চালাতে দেশটিতে অপরাধমূলক কাজকর্মও ক্রমবর্ধমান। অনেকে যুক্ত হয়েছে চুরি,ডাকাতির মত ঘৃণ্য কাজকর্মে।এই অবস্থায় নিজের বাড়ি থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেল পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মহম্মদ হাফিজের।
পাকিস্তানের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন হলেন হাফিজ। তার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে চলতি মার্চের ৮ তারিখে। ফলে গোটা দেশের দুবস্থার চিত্রটি আরও একবার প্রকট হয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক প্রচারমাধ্যমে সূত্রে খবর, প্রায় ২০ হাজার ইউএস ডলার ছিল হাফিজের কাছে,যা পাকিস্তানের মুদ্রায় ১৬ লক্ষ টাকা।
আরো খবর: DA কোনো অধিকারের ম’ধ্যে প’ড়ে না, এটা একটা অনুদান মা’ত্র: কুনাল ঘোষ
সেই টাকার পুরোটাই এবং কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে তার বাড়ি থেকে।ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পাকিস্তান পুলিশের তরফে প্রাথমিক তদন্তের পর জানানো হয়েছে, চোরদের কাছে আগের থেকেই বাড়ি ফাঁকা থাকার খবর ছিল।
রাতের বেলা হাফিজের বাড়ির তালা ভেঙে প্রবেশ করে তারা।কাজ মিটতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয় তাঁরা।কে বা কারা এই কাজের সাথে যুক্ত তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।