সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“মক ড্রিল”-র নামে অক্সিজেন সাপ্লাই ব’ন্ধ ৫ মিনিট, ম’র্মা’ন্তি’ক মৃ’ত্যু ২২ রোগীর

অক্সিজেনের অভাবে উত্তর প্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলে কমপক্ষে ২২ জন রোগীর। যদিও এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে বহুবার কিন্তু এবারের ঘটনাটা একটু হলেও অন্য রকম। মক ড্রিল এর জন্য পাঁচ মিনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে সমস্ত অক্সিজেনের যোগান, যার ফলে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে গেল। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার খবরটি প্রকাশ যার ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে।

আরো একবার যোগী রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সকল মহলে। তবে ঘটনাটির কথা জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গোটা ব্যাপারটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আগ্রার জেলাশাসক। সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে এক ব্যক্তিকে কথা বলতে শুনতে পাওয়া গেছে। জনৈক ব্যক্তি নিজেকে আগ্রার পরশি হাসপাতালের মালিক আরঞ্জয় জৈন বলে দাবি করেছিলেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায় যে, আমাদের জানানো হয়েছিল যে রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্র কখনো অক্সিজেন জোগাড় করতে পারবেন না।

হাসপাতালে সেই সময় অক্সিজেনের অভাব ছিল। রোগীদের পরিবারকে রাজি করিয়ে আমরা তাদের অন্যত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করি। অনেকেই রাজি হলেও কেউ কেউ রাজি ছিলেন না। এরপর আমরা মক্কেলের পরিকল্পনা করি।

এই পরিকল্পনা করার পর বোঝা যায় যে কে বাসবে না আর কে মারা যাবেন। সকাল সাতটায় ৫ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সবকিছু। তখনই আমরা ২২ জন রোগীকে চিহ্নিত করতে পারি। বুঝতে পারি তারা মারা যাবেন। কিছুক্ষণ পর ওই ২২ জনের শরীর নীল হতে শুরু করে দেয়। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সহ বিরোধিরা বিজেপি তথা উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সকলেই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মুখর হয়েছেন।

যদিও হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর কথা একেবারে উড়িয়ে দেন আগ্রা জেলাশাসক প্রভু এন সিং। তার দাবি অনুযায়ী, ২৬ তারিখ এবং ২৭ তারিখ হাসপাতালে মাত্র ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই কয়েকদিন অক্সিজেনের আকাল ছিল ঠিক ই। কিন্তু মথুরা শোধনাগার থেকে হাসপাতালে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হয়। তবে তিনি এও বলেছেন যে,তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।